নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (বিশেষ প্রতিনিধি) : নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা মডেল থানার নারী পুলিশ সদস্য এস আই নাজনিন কর্তৃক গ্রেফতার বানিজ্যের শিকার হলো মিথিলা নামের এক অসহায় নারী। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুরে ফতুল্লা থানাধীন অক্টো অফিস এলাকায়।
জানা গেছে, সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন অক্টো অফিস এলাকায় বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে মিথিলা নামের এক অসহায় নারীর বাসায় অসামাজিক কার্যকলাপের খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার নারী এস আই নাজনিন যান সেখানে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে উল্টো দৃশ্য। তার সোর্সের দেয়া তথ্য সঠিক নয়। সেখানে মিথিলাসহ আরও দুজন মেয়ে ছাড়া কোন পুরুষ লোক ছিলনা ঐ বাসায়। তখন মিথিলা স্বীকার করে যে সে পেটের দায়ে মাঝে মধ্যে মেয়ে দিয়ে দেহ ব্যবসা করে। এ কথা শুনে রগচটা নাজনিন তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু স্বামী ছাড়া অসহায় মিথিলার কাকুতি মিনতি করতে থাকে। তখন দারোগা নাজনিন তাকে বলে তাহলে দু একটা খদ্দের ডেকে নিয়ে আসলে তোকে ছেরে দেব। তখন ভয়ে মিথিলা তার কথা মত দুজনকে ডেকে নিয়ে আসে। এসময় পূর্বে থেকে ওৎ পেতে থাকা এস আই নাজনিন তাদের ধরে ফেলে এবং একজনের নিকট থেকে ২০ হাজার ও অপরজনের কাছ থেকে ১৪ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে চেরে দেয়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল উদ্দিন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে যখন জেনেছি তদন্ত সাপেক্ষে ঐ অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ঘটনার সত্যতা জানতে ফতুল্লা মডেল থানার এস আই নাজনিন জানান, ফতুল্লা থানাধীন অক্টো অফিস এলাকায় এক মহিলা বাসা ভাড়া নিয়ে পতিতা ব্যবসা করছে এমন খবর পেয়ে সেখানে যাই। তবে সেখানে কোন পুরুষ লোক পাইনি। মেয়েটি স্বীকার করেছে যে সে পেটের দায়ে এ ব্যবসা করে। তাই মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে কোন টাকা পয়সার লেনদেন হয়নি।
এ বিষয়ে মিথিলা জানায়, ফতুল্লা থানার মহিলা এস আই আমাকে ধরে নিয়ে যাবে ভয় দেখিয়ে দুজন ছেলের কাছ থেকে টাকা নেয় এবং আমাকে ও তাদেরকে ছেড়ে দেয়। যাওয়ার সময় ভয় দেখিয়ে বলে এঘটনা যদি কাউকে বলিস তাহলে তোকে মামলা দিয়ে হাজতে পাঠাবো।
উল্লেখ্য, ফতুল্লা মডেল থানার এই বিতর্কীত নারী এস আই নিজেকে অনেক সময় নিজেকে ম্যান্টেল বলে আখ্যা দিতে পছন্দ করেন। পুর্বেও এর আখ্যা তিনি নিজেই দিয়েছেন। এর আগেও উৎকোচ বানিজ্যে ব্যাপক আলোচিত সমালোচিত হয়েছেন এই এস আই নাজনিন।