নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ফতুল্লা প্রতিনিধি ) : অবশেষে পুলিশ পেটানো সেই সন্ত্রাসী তেলচোরা সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। চাঁদার দাবিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুটতরাজ করার ঘটনায় দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় আসামিরা হলেন তেলচোরা সালাউদ্দিনের সহযোগী আলমাছ এবং সহীদ।
মামলায় দেলোয়ার হোসেন উল্লেখ্য করেন, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মেঘনা ডিপোর উল্টো পাশে ব্যাক্তি মালিকানাধীন ডলফিন ব্রাদাস লিঃ নামে তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত কয়েকমাস পূর্ব থেকে ফতুল্লার মৃত এলাহী বক্স এর ছেলে সন্ত্রাসী সালাউদ্দিন ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা দাবির বিষয়টি স্থাণীয় মুরুব্বীদের জানানোর পরেও সে ক্ষান্ত হয়নি। উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে ৯ই অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় সন্ত্রাসী সালাউদ্দিনসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনের একদল সন্ত্রাসী পূনরায় চাঁদার দাবিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসে এবং প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত ম্যানেজার খায়রুল আলম সেন্টু দাবিকৃত চাঁদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় এবং প্রতিষ্ঠানে রক্ষিত প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকা লুট করে নিয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার উল্লেখিত সন্ত্রাসীদের অনাধিকার প্রবেশে বাধা প্রদান করায় তাকেও মারধর করে গুরুতর জখম করে। হামলাকারীদের হামলার ঘটনায় ম্যানেজার খায়রুল আলম সেন্টু ডাক চিৎকার করলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেন নামের এক ব্যাক্তি বাদী হয়ে সালাউদ্দিন, আলমাছ এবং শহীদ নামের ৩ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও সন্ত্রাসী সালাউদ্দিনসহ তার সহযোগী মনিরগণ ফতুল্লা মডেল থানার এস আই এনামুল হককে ডিউটিরত অবস্থায় হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ সন্ত্রাসী তেলচোরা সালাউদ্দিনসহ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। সে সাথে সালাউদ্দিনের সহযোগী মনিরের কাছ থেকে অবৈধ মাদক উদ্ধার করে। পুলিশ মাদক উদ্ধারের ঘটনায় তেলচোরা সালাউদ্দিনকে পলাতক আসামি দেখিয়ে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
স্থাণীয়রা জানান, ফতুল্লার পঞ্চবটিস্থ এলাকায় যমুনা ও মেঘনা নামক দুটি তেলের ডিপো রয়েছে। এ ডিপোকে কেন্দ্র করে তেলচোর সালাউদ্দিন বিশাল চোরাই সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে প্রতিদিন কয়েক লক্ষাধিক টাকার তেল চুরি হয়ে আসছে। তেল চুরির নির্বিঘেœ করার লক্ষ্যে উক্ত এলাকায় একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে। তেল চুরিসহ স্থাণীয়ভাবে একক আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে প্রায় সময়ই অস্ত্রের মহড়া প্রদান করে আসছে এই সালাউদ্দিন। এদিকে ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেনের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে হামলার পর পরই দাবি উঠেছে তেল চোরের মূল হোতা সালাউদ্দিনকে গ্রেফতারের। এর আগেও থানা পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে রেহাই পেয়ে যায় সন্ত্রাসী সালাউদ্দিন। আইনের ফাঁক ফোকরের মাধ্যমে তেলচোর সালাউদ্দিনসহ তার সহযোগীরা যাতে পার পেয়ে না যায় এজন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের জরুরী ভিত্তিতে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।