নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই সন্ত্রাসী পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষে পাচঁজন টেঁটাবিদ্ধ সহ উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছে। এসময় প্রায় ৫/৬টি বাড়ি ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রবিবার ২৬ মে বিকেল থেকে সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের আকবরনগর এলাকায় রহিম হাজী ও সামেদ আলী গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে রাত পর্যন্ত ফতুল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ, ডিবি পুলিশ ও নারী পুলিশসহ অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান নেন। এছাড়াও সেখান থেকে বেশ কয়েকটি টেঁটা উদ্ধার করে পুলিশ। তবে পুলিশের অবস্থান টের পেয়ে মুহুর্তের মধ্যেই উভয়গ্রুপের সন্ত্রাসীরা সহ প্রায় পুরুষ শুন্য হয়ে যায় এলাকাটি।
এলাকাবাসী জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রহিম হাজী ও সামেদ আলী গ্রুপের জমি দখল, ইটভাটা ও মাটিকাটা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এমন ঘটনা এরআগেও দফায় দফায় ঘটেছে। তাদের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ ও ফতুল্লা থানায় অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে। বিকেলে হঠাৎ করেই উভয়পক্ষের লোকজন মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এক পযার্য়ের টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের ৫জন টেটাবিদ্ধ সহ ১৫ জন আহত হয়। তাৎক্ষনিক আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
ফতুল্লা বক্তাবলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মফিজ উদ্দিন জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।