প্রশাসনের নিরব ভূমিকার সুযোগ নিয়ে রাহাতের মাদক ব্যবসা তুঙ্গে

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরব ভূমিকার সুযোগ নিয়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ভালো চরিত্রের মুখোশদ্বারী মাদক ডিলার রাহাতের মাদকের ব্যবসা তুঙ্গে। সমাজে ভদ্র পরিচয় দিয়ে সৎ চরিত্রের অভিনয়ে মুখোশদ্বারী এই রাহাতকে নিয়ে অনেকেই চিন্তায় বিভিষিকাময় হয়ে পড়েছে। আমরা অনেকবারই একথাটি শুনেছি কথায় বড় না হয়ে কাজে বড় হও। কিন্তু এটাও জানি দুষ্ট লোকের মিষ্টি কথা আর এজন্যই ধরা ছোয়ার বাহিরে থেকেই মিষ্টি কথা আর বিপুল টাকার উৎকোচ দিয়ে অসৎ কাজে সম্পৃক্ততা রেখে উভয় গুনে নিজেকে আড়াল করে রাখছে রাহাত। একের পর এক দু:সাহসিক ঘটনা ঘটিয়ে প্রশাসনের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে রাহাত যেন আইনের উর্ধে। নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ একাধিকবার মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে মাদকসহ মাদক ডিলার রাহাতের সহযোগীদের আটক করলেও প্রতিবারই উৎকোচ দিয়ে ম্যানেজ করে নিজেকে আড়াল করে বেচেঁ যায় রাহাত।

প্রসঙ্গত, গত ১১ মে বুধবার সদর থানাধীন গলাচিপা এলাকায় রাত ১১ টায় নগরীর আমলাপাড়া এলাকার মাদক ব্যবসায়ী রাহাত ও তার সাথে থাকা দুই জন যৌন কর্মীর উপর হামলা করে, নিতাইগঞ্জ নলুয়া পারা থেকে আগত ৩ জন মটর সাইকেল আরহী ও প্রাইভেট কারে আসা দুবৃত্তরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার রাতে গলাচিপা এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এ সময় একটি প্রাইভেট কার ভাংচুর করে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাহাত বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। অবস্থার বেগতিক দেখে নলুয়া পারা থেকে আগত দূবৃত্তরা তাদের ৩ টি মটর সাইকেল ও একটি প্রাইভেট কার রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার একটি টিম।

এদিকে পরিস্থিতির অবনতি দেখে তাৎক্ষনিক ফতুল্লা মডেল থানার তার সমর্থিত পুলিশকে ফোন করে আনে মাদক ব্যবসায়ী রাহাত। পরে ক্ষমতা আর নিজের দাম্ভিকতার বলে ফতুল্লা মডেল থানার উপ পরিদর্শক মিজান ২ টি মটর সাইকেল ও ২ টি প্রাইভেট কার সহ ব্যবসায়ী রাহাত ও দুই জন যৌন কর্মীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন এই গুনধর দারোগা। পরে মাসদাইর এলাকা থেকে রাহাত ও দুই জন যৌন কর্মীকে প্রাইভেট কার সহ ছেড়ে দেওয়া হয়। ছেড়ে দেওয়ার কারন জানতে চাইলে গুনধর দারোগা বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করনে। এরপর প্রশ্নের তোপের মোখে পরে বলেন, আগামীকাল বিচার হবে। এবং সেখানেই সমস্যার সমাধান হবে।

পরবর্তিতে ফতুল্লা মডেল থানার এস.আই মিজানের সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে প্রথমবার ১০ মিনিট পরে কল দেন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ২য় বার কল দিলে ১ ঘন্টা পরে কল দিতে বলেন। তারপর ৩য় বারের মতো আবার কল দিলে তিনি বলেন, যাদের গাড়ি তাদেরকে দিয়ে দেয়া হয়েছে। উভয় পক্ষের মধ্যে আপস হয়ে গিয়েছে। আপস কাদের সাথে, কিভাবে, কখন হলো এবং থানায় কি কোন সাধারন ডায়রি করা হয়েছি কিনা? জিজ্ঞাসা করলে তিনি এড়িয়ে যেয়ে একজন সাংবাদিকের সাথে যোগাযোগ করার কথা বলে নাম্বার দেন। এবং তার সাথে যোগাযোগ করলে সব জানতে পারবেন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। অথচ এতো বড় একটি হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা যেখানে প্রান নাশের ঝুকিঁ রয়েছে। তা সকলকে অন্ধকারে রেখে তাদের মধ্যকার সীমাবদ্ধতাই শেষ করে ফেলে রাহাত। আর  এতে করে বুঝা যায় পুলিশের পাশাপাশি কিছু র্কাডদ্বারী সাংবাদিকদেরও ম্যানেজ করছে মাদক ডিলার রাহাত।

এছাড়াও আরও অভিযোগ রয়েছে গত ১০ মে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর খানপুর এলাকা থেকে রাহাত ও তার সহযোগীকে বিপুল পরিমান বিয়ার সহ আটক করে সদর মডেল থানার পুলিশ। কিন্তু কয়েক লক্ষ টাকার উৎকোচের বিনিময় চিহ্নিত ব্যবসায়ী রাহাতকে ছেড়ে দিয়ে মামলা প্রদান করা হয় ক্লাবের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে।

উল্লেখ্য, বিগত এক বছর পূর্বে মাসদাইর ঈদগায় এলাকার হাজ্বী আব্দুল হামিদ সড়র (এমপি গলি) প্রথম বাড়ীর নিচ তলা থেকে প্রায় ১৭’শ পিছ বিয়ার ও ৯’শ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার সহ এক জনকে আটক করে করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকশ দল। আটক কৃত ব্যাক্তির জবান বন্দিতে স্পষ্ট উলেখ করা হয় উদ্ধার কৃত মাদকের প্রকৃত মালিক ছিলো রাহাত। এ বিষয় ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মাদকের মামলা দায়ের করা হলোও পরবর্তীতে এই মামলার কোন সমাধান আসেনি।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত