নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( শহর প্রতিনিধি ) : জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো: বাদল বলেছেন, আমরা ত্বকি হত্যার বিচার চাই, চঞ্চল হত্যার বিচার চাই। কিন্তু ঋণ খেলাপি, নারীলোভি রফিউর রাব্বি যদি পবিত্র শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে আর একবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিব্রতকর তথ্য উপস্থাপন করে তা মেনে নিবনা। সাধারণ নিয়মে যদি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিচার এ দেশে হয়ে থাকে। তাহলে সকল বিচার র্কাযক্রমই একই নিয়মে সম্পন্ন হবে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রিকে নিয়ে কটাক্ষকারী রফিউর রাব্বির বিচার ও আমরা চাই। ৯ই সেপ্টেম্বর দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের কর্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী সর্ম্পকে বিব্রতকর তথ্য উপস্থাপন করার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা আওয়ামীলীগের ব্যানারে আবু হাসনাত শহীদ মো: বাদলের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী বিরু, নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, সোনারগাঁ যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজি মজিবুর রহমান, সাবেক স্বেচ্ছা সেবক লীগ নেতা মো. একরামুল হক, নারায়ণগঞ্জ জেলা ব্যাংক সমিতির সভাপতি আব্দুল কাদের, নারায়ণগঞ্জ জেলা ৭১ এর চেতনা মঞ্চের সভাপতি এম রাসেল, জেলা তাঁতী লীগের সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন ও মহানগর তাঁতী লীগের সভাপতি মুকুল হোসেন রাসেল প্রমুখ।
আবু হাসনাত শহীদ মো: বাদল আরও বলেন, আমরা অনেক র্ধৈয্য ধারন করেছি। দীর্ঘ সময় ধরেই লক্ষ করছি রফিউর রাব্বি বিভিন্ন সময় বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। তবে এবার সীমা লঙ্গন করা হলে আমারা তা মেনে নিবো না। আবারও যদি প্রধানমন্ত্রী সর্ম্পকে বিব্রতকর কোনো তথ্য উপস্থাপন করা হয় তাহলে রফিউর রাব্বির জিভ টেনে ছিড়ে ফেলা হবে। আর তার এ ধরনের বক্তব্যে যদি কোনো অপ্রতিকর ঘটনা ঘটে, তাহলে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ তার কোনো দায়িত্ব নিবে না। তাই প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিব্রতকর তথ্য উপস্থপনকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, গত ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় চাষাড়া শহীদ মিনারে ত্বকী হত্যার বিচারের দাবিতে মোমশিখা প্রজ্জ্বলন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ত্বকী হত্যা বিলম্ব হওয়া নিয়ে রফিউর রাব্বি বলেছেন, এ দেশে সব কিছুই প্রধানমন্ত্রীর চাওয়া না চাওয়ার উপর নির্ভর করে। প্রধানমন্ত্রী চান না যে ত্বকী হত্যার বিচার হউক। আর প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার কারণেই আজকে ত্বকী হত্যার বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়েছে । দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এ বিচার না হওয়ার জবাবতো তাঁকেই দিতে হবে। ত্বকীর ঘাতক যারা এবং এ বিচার প্রক্রিয়া বন্ধের সাথে যারা জড়িত তাদের সকলকেই একদিন অবশ্যই বিচারের আওতায় আসতে হবে। এইটি আজ হোক আর কাল হোক বিচার হবে এবং সকলকে কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। আর ফাসিঁতে ঝুলতেই হবে। এ হত্যা মামলা যারা বিলম্বিত করেছে তারাঁও ছাড় পাবেনা। আমারা কোনও হত্যার বিচারের দাবিতে পিছ পা হবোনা। আশিক হত্যা, চঞ্চল ও মিঠু হত্যা হয়েছে। বহু হত্যাকান্ড সংগটিত হয়েছে যার বিচার আজ পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি। কেন সম্পন্ন হয়নি, এই হত্যাকারী বা হত্যার অভিযোগ যেই পরিবারের ঘাড়ে, তাদের পিছনে প্রশাসন থাকে। কিন্তু আমরা বিচার আদায় করে ছাড়বো। তিনি প্রায়ই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়কারীদের প্রতি বিষোদগার করেন। অথচ তিনি ত্বকী হত্যাকরীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন।