নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) বলেছেন, আমার প্রতিপক্ষরা ভূমিদস্যুদের পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের অর্থে নির্বাচনে নেমেছে। ভূমিদস্যুরা ওই প্রার্থীদের পেছনে কোটি কোটি টাকা খরচ করছেন। তারা একজন পুতুল এমপি বানিয়ে রূপগঞ্জকে দখল করতে চায়। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে মুড়াপাড়া ইউপির গঙ্গানগর এলাকায় প্রচারণার সময় সাংবাদিকদের তিনি এই কথা বলেন। এই আসনে তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর এবারও দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি বর্তমান সরকারের বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমি ভূমি রক্ষার জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা করেছি এবং ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা রাখছি। কিন্তু ভূমিদস্যুরা এতই ক্ষমতাবান যে তারা প্রশাসনকে পর্যন্ত হার মানিয়ে দেয়। ভূমিদস্যুরা তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে। ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে তারা প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা করে দেয়। তারা অন্যের জমি দখল করে, জমির মালিককে আঘাত করে, তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়। এইভাবে হাজারো মানুষকে নাজেহাল করে তারা সবগুলো জায়গা দখল করতেছে।
ভূমিদস্যুরা রূপগঞ্জে একচ্ছত্র আধিপত্যের উদ্দেশ্যে তাঁর বিপরীতে একাধিক প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন নৌকার প্রার্থী।
তিনি বলেন, ‘আমি তো ব্যবসায়ী, আমার নিজের ব্যবসা আছে। সুতরাং আমার তো অর্থ খরচ করাতে কোন সমস্যা নেই। তারা (প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী) কীভাবে অর্থ খরচ করছে? তাদের ভূমিদস্যুরা অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করছে। কারণ ভূমিদস্যুরা রূপগঞ্জকে দখল করতে একজন পুতুল এমপি বানাতে চান। কিন্তু রূপগঞ্জের জনগণ তা হতে দেবে না।
রাজধানীর অদূরে রূপগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনটিতে ‘কিংস পার্টি’ খ্যাত তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার এবং রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তিনবারের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূঁইয়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়া আরও ৫ জন প্রার্থী রয়েছে আসনটিতে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গোলাম দস্তগীর বলেন, কোন মুক্তিযোদ্ধাকে অপমানিত করা হয়নি। এমনকি চনপাড়ায় যেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচারণায় বাধার কথা বলা হচ্ছে সেখানে স্থানীয় কোন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। বাইরের থেকে লোকজনকে নিয়ে গিয়ে সেখানে এক ধরনের ইস্যু তৈরি করা হয়েছে। মূলত নির্বাচনকে ঘিরে আমরা একে-অপরকে ঘায়েল করার চেষ্টায় আছি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের জনসমর্থন না থাকায় বাইরের লোকজন নিয়ে দলভারী করার চেষ্টা করছে। স্থানীয় সাধারণ মানুষও তখন বিভ্রান্ত হয়। আমি কিন্তু যে ওয়ার্ডে যাচ্ছি সেই ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে নিয়েই প্রচারণা চালাচ্ছি।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা যেকোন ছোটখাটো বিষয়েও কেবল নালিশ করেই যাচ্ছে। তারা আমাদের ওই কাজেই ব্যস্ত রাখতে চাচ্ছে। প্রশাসন মনে করছে, নালিশের ব্যাপারে অ্যাকশনে না গেলে কমিশনকে তাদের জবাবদিহি করতে হবে, এই কারণে তারা অ্যাকশনে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের তো নালিশ করার সময় নেই। কারণ আমাদের ভোট দিবে জনগণ, তাই আমরা জনগণকে নিয়েই ব্যস্ত, তাদের নিয়েই আছি।