নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ এড. আবুল কালাম বলেন, ১/১১ এর সময় যখন দেশনেত্রী কারাগারে ছিলেন তখন দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সারা বিশ্বের সাথে তার যোগাযোগ বন্দ ছিলো। তখনই হান্নান শাহ আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অনুমতি নিয়ে বিএনপির নেতাদেরকে উজ্জীবিত করেন তৎকালীন সময় তার সঙ্গী ছিলেন মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেন। বুধবার ২৭ সেপ্টম্বর বুধবার বাদ আছর কালিবাজারস্থ মহানগর বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী সদস্য আ.স.ম হান্নান শাহর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মিলাদ এবং দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। আলোচনা সভার শুরুতেই হান্নান শাহ এর রুহের মাঘফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া করা হয়।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, সহ-সভাপতি এড. জাকির হোসেন, হাজী নুরুউদ্দিন, কোষাধক্ষ মনিরুজ্জামান মনির, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন, মনিরুল ইসলাম সজল,বিএনপি নেতা এড. রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ, এড. আনছিুর রহমান মোল্লা, মহানগর যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক সরকার আলম, মনোয়ার হোসেন শোখন, মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব এমএ আজগর, যুগ্ম-আহবায়ক মনির মল্লিক।
এ সময় এড. আবুল কালাম আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিকে শক্তি শালী করার পিছনের তার অবদান অপরিসীম। বর্তমান সরকারের গনতন্ত্র হত্যা ও জুলুম থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করতে হলে প্রতিটি নেতা কর্মীকে হান্নান শাহ হতে হবে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আমার রাজনীতিতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সেতু বন্ধনের মধ্যস্থতা করেন মুরহুম হান্নান শাহ। আমরা তার বিদেহী আক্তার মাগফেরাত কামনা করি, সেই সাথে তার রেখে যাওয়া রাজনৈতিক কর্মকান্ড ও দক্ষতাকে বুকে লালন করে আগামীতে দেশের গনতন্ত্র পুর্নরুদ্ধার করতে হবে।
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল বলেন, হান্নান শাহ বিএনপির দুঃসময়ের কান্ডারী ছিলেন। দেশের গনতন্ত্রকে হত্যার যে অপ-সংস্কৃতি চলছে, এটা থেকে উদ্ধার হতে হলে এক একজন নেতাকে হান্নান শাহ হতে হবে। কারন ১/১১ তার এক গর্জনে বিছিন্ন থাকা বিএনপির নেতাকর্মীরা ঐকবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়ে ছিলো। আগামী দিনে নির্দলীয় তত্ত্বধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন বা আন্দোলন সংগ্রাম যাই হউক না কেন হান্নান শঅহর মত সকলকে গর্জে উঠতে হবে।
মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনু, বিএনপি নেতা আরফি হোসেন ঘোগা, অহিদুল ইসলাম ছক্কু, হাজী ফারুখ আহম্মেদ, তোফাজ্জল হোসেন মৃধা, আবুল হোসেন, আরিফ মোল্লা, শ্রমিক দল নেতা ফারুক হোসেন, ফজলুর রহমান, মহানগর ছাত্র দলের যুগ্ম-আহবায়ক আবুল কাউছার আশা, মহানগর স্বেচ্ছা নেতা আবু আল বেলাল, মাকদি মোস্তাকিম শিপলু, দুলাল হোসেন, আব্দুল রশিদ হাওলাদার, যুবদল নেতা আলি ইমরান শামীম প্রমূখ।