নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( প্রেস বিজ্ঞপ্তি ) : ফতুল্লার কাশীপুরের জোড়া খুনের ঘটনায় মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আহমেদের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে তিনি দাবি করেছেন। সেইসাথে স্থানীয় গণমাধ্যমে তাকে জড়িয়ে যেসব প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে তা মিথ্যা বলে তিনি উল্লেখ করেন। ভারতের নয়া দিল্লি থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন মহানগর বিএনপি নেতা হাসান। এছাড়াও ১৮ ই অক্টোবর বুধবার দুপুরে মুঠোফোনে আলাপকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমি বেশ কিছুদিন যাবৎ অসুস্থ থাকায় গত ২৯/০৯/২০১৭ইং তারিখ বাংলাদেশ ত্যাগ করে স্ত্রীসহ ভারতে রয়েছি। দিল্লিতে আসার পর প্রথমে আমার স্ত্রীকে ইন্দিরা আইভিএফ হসপিটালে ডাক্তার অরবিন্দ ভেইদ এমবিবিএসকে দেখাই। পরে ০৯/১০/২০১৭ইং তারিখে নয়া দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হসপিটালে ডা. এসকে মন্ডল (বিএসসি, এমবিবিএস, এমএস অর্থো এএইচএমএস) রেজিষ্টার নং-৩০৫১৬ (ডব্লিউ বি) ১১৮০৮ কে দেখিয়ে থেরাপী নেওয়া হচ্ছে পেইন ফ্রি জোনে।
গত ১২/১০/২০১৭ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার রাতে হোসাইনি নগর এলাকায় সংঘটিত জোড়া খুনের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আমার বিন্দু মাত্র সম্পৃক্ততা নেই। নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় বিভিণœ গণমাধ্যমে আমাকে জড়িয়ে যেসব প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে তা সঠিক নয় মিথ্যা। আমি অনাকাঙ্খিত ন্যাক্কারজনক ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এবং খুনের ঘটনায় আমি র্মমাহত। এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তিরও দাবী করছি।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, বিগত দিনে বিএনপি’র শহর রাজনীতি করার সুবাদে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কর্মী দলের টানে মিছিল মিটিংয়ে আসতো আমিও অনেককেই ডাক খোজ দিতাম। সময়ের বিবর্তনে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দলের অনেক ছেলে পেলেই দল ত্যাগ করে সরকারী দলের লোকদের সাথে মিশে বিভিন্নভাবে ব্যবসা বাণিজ্য করতে থাকে। পূর্ব পরিচিত হওয়ার কারণে অনেকেই মাঝে মধ্যে দেখা হলে কথা বার্তা বিনিময় করতো। তাছাড়া আমার সাথে কারো কোন ধরনের সম্পর্ক ছিল না।