নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (শহর প্রতিনিধি) : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, শুধু পুলিশ র্যাব জঙ্গিদের প্রতিহত করতে পারবে না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে একত্রিত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। তাহলেই জঙ্গি প্রতিহত করা সম্ভব হবে। জঙ্গি হামলায় এদেশে যারা নিহত হয় তারা কি মুসলমান না। মসজিদে হামলা করা হয় তারা কি মুসলমান নয়। বিভিন্ন সময়ে দেশকে দুটি ভাগে বিভক্ত করা হচ্ছে। একটি অংশ খুব নগন্য অথচ তারা বেশ সংগঠিত। ওরা মাত্র ৩ থেকে ৪ভাগ। অপর অংশটি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুর হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নকে ভুলণ্ঠিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। ২০১৪ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ জন পুলিশ অফিসার জীবন দিয়েছেন ওই জঙ্গী ও আগুন সন্ত্রাসীদের কারণে। পুলিশ মারা যাচ্ছে সাধারণ মানুষ মারা যাচ্ছে, র্যাব আহত হচ্ছে আর বিরোধী দল বলছে এটা সন্দেহ জনক কর্মকান্ড।
সিলেটের আতিয়া মহলে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে দুই পুলিশ সদস্যসহ নিহত ৬ জনের রুহের মাগফেরাত কামনা ও বোমা হামলায় আহত কর্নেল আজাদসহ অন্যান্যদের আশু অরোগ্য কামনায় দোয়া মাহফিল ও সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন । মঙ্গলবার বিকালে চাষাড়া শহীদ মিনারে এর আয়োজন করেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান নিজেই।
উক্ত দোয়া মাহফিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া, পুলিশ সুপার মঈনুল হক, র্যাব-১১ এর পরিচালক কামরুল হাসান, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসমিন জেবিন বিনতে শেখ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খোকন সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি (অর্থ) জিএম ফারুক ও নারায়ণগঞ্জ আইনজীবি সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান দিপু।
শামীম ওসমান বলেন, যারা ইসলামের নাম দিয়ে মানুষ মারে তারা ইবলিশের সন্তান। আমি গত ১৭ বছর যাবৎ তাহাজ্জুদের নামায পড়ি। দুই বেলা কুরআন পড়ি। কই কোথাও তো দেখলাম না ইসলাম জঙ্গীবাদ সমর্থন করে।
শামীম ওসমান আরো বলেন, ড. ইউনুস হিলারী ও বিশ্ব ব্যাংক ষড়যন্ত্র করে পদ্মা সেতুর কাজ বন্ধ করতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা নিজেদের অর্থেই পদ্মা সেতু করছে। জঙ্গীরা এত বড় মুসলমান কই ইজরাইলে তো হামলা হয় না। উল্টো বাংলাদেশের মতো ধর্মভীরু দেশগুলোতে হামলা করা হয়। সাবেক সরাষ্ট্রমন্ত্রী আমার দলের শ্রদ্ধেয় মাতৃতুল্য সাহারা খাতুন বলেছিলেন এ দেশে জঙ্গীবাদ নেই। আমি বলেছিলাম আছে। ওরা কাপুরুষ। ওরা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ওরা মরণ কামড় দিবে।
এ সময় তিনি উপস্থিত সকলের কাছে মতামত চেয়ে বলেন, যারা শহীদ হয়েছেন তাদের নামে রাস্তা করতে চাই। সামনে আরো হামলা হবে। দলবাজি না করে সাবধান থাকতে হবে। ওরা যেন বাংলাদেশকে আফগানিস্তান ইরাক বা লিভিয়া বানাতে না পারে।
পরিশেষে আইন শৃংখলা বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে সংসদ সদস্য আরো বলেন, একাত্তরে পরাজিত শক্তি এখন কাজ করছে হিট অ্যান্ড রান পদ্ধতিতে। এক জায়গায় অবস্থান করে ঘটনা ঘটিয়ে দ্রুত সেখান থেকে চলে যাবে। নারায়ণগঞ্জেও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আশেপাশে এ ধরনের ঘাঁটি আছে সে ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঘাতক দালাল নিমূল কমিটির জেলা সভাপতি চন্দন শীল, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোপিনাথ দাস, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ বাদল, নায়াণগঞ্জ বিএমএ’র সভাপতি ডা. শাহ্ নেওয়াজ, যুবলীগ নেতা হেলাল, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, মহানগর সেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি নাজমুল আলম সজল, জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আবু জাহের, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফায়াত আলম সানি ও মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হাবিবুর রাহমান রিয়াদ প্রমূখ।