নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিনিধি ) : আমাদের এ ব্যাবসা কেউ বন্ধ করতে পারবো না। কারো বেইল নাই, এখান থেকে আর্মি ছাড়া আমাগো কেউ ধরতে পারবো না থানার পুলিশতো আমাগো পকেটে আর র্যাব মামাগো লগেতো দেহা সাক্ষাত করতাসি। পেপারে যারা লেখব অগোতো ছাইপাশ দিতাসি। অনেক সাংঘাতিকতো সন্ধ্যার পর আমাগো কাছে আইয়া লইয়া যায় ঐ ব্যাটায় একলা লেইক্কা কি করব? মন্ডল পাড়া বাঁশ পট্টির পিছনে মাদকব্যাবসার খবর সংবাদ শিরোনাম হওয়ার পর এসব কথা বলে ঐ সিন্ডিকেটের সদস্য হিজড়া মোক্তার ।
নারায়ণগঞ্জের ৫ টি আসনের ৫ জন এমপি, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশের প্রধান পুলিশ সুপার মাদকের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করলেও শহরের প্রাণ কেন্দ্র মন্ডলপাড়া বাগানে বাশঁ পট্টির পিছনে খোদ সদর মডেল থানার পুলিশের সহায়তায় প্রকাশ্যে বুক ফুলিয়ে মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্র।
একটি বিশেষ পেশার লোকদের সহ রাজনৈতিক দলের তথাকথিত নেতাদের ও পুলিশের ছত্র ছায়ায় এই মাদকের ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই ব্যবসা চালাতে সহায়তা করছে বিশেষ পেশার লোক সহ পুলিশ ও মাস্তান বাহিনীর সদস্যরা। বিনিময়ে প্রতিদিন মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গুনে নিচ্ছে মোটা অংকের নগদ টাকা। মাদক ব্যবসায়ী চক্রের কাছ থেকে টাটকা টাকা পেয়ে বিশেষ পেশার লোকসহ সদর মডেল থানার পুলিশ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিভিন্ন শাখার লোকেরা আটকা পড়ে কার্যক্রম বন্ধ করে রেখেছে বলে মতব্যাক্ত করেছেন প্রত্যক্ষদর্শী রেলী বাগানে বাসিন্দারা।
অভিযোগে প্রকাশ বিগত প্রায় এক বৎসর যাবৎ নগরীর মন্ডল পাড়া বাশঁ পট্টির পিছনে গলীর ভিতর দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে ঐ বাগানের বাসিন্দা রানা নামের এক যুবক। রানার অন্যতম সহযোগী বাদল মুহুরী মামুন, হায়দার ও তাদের অন্যতম সহযোগী হিজড়া মোক্তার।
দিনরাত ২৪ ঘন্টাই খোলা থাকে এই মাদকের স্পটটি। তাছাড়া এই স্পটিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকদের অভিযান চলেনা বলেই মাদকসেবীদের কাছে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে বাগানে ঢালে বাঁশ পট্টির পিছনে মাদকের স্পটটি।এখানে প্রতিদিন ইয়াবা থেকে শুরু করে গাঁজা, অফিম ও হেরোইন বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্যে।
মন্ডল পাড়া পুলের উপর সদর মডেল থানায় কর্মরত পুলিশের একটি টিম প্রতিদিন এখানে ডিউটিরত অবস্থায় সকাল সন্ধ্যা থাকলেও তারা সবকিছু দেখেও না দেখার ভান করছে ।
মাদকের এই স্পটি পরিচালনা করে হিজড়া মোক্তার। তার সাথে রয়েছে একদল মাদকাসক্ত ক্যাডার। এই স্পটে মাদক কিনে কেউ ভেজাল করলে বা কোন প্রতিবাদী ব্যাক্তি এবিষয়ে কোন কথা বল্লেই হিজড়া মোক্তারের পালিত মাস্তান বাহিনী ঝাপিয়ে পড়ে যার কারণে কোন ব্যাক্তি এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে সাহস পাচ্ছেনা।