নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : এই যে ফুটফুটে শিশুটি মায়ের বিছানায় শুয়ে মিটিমিটি হাসছে, শনিবার ভোর ৫ টায় তার জম্ম। শিশুটি জম্ম নিয়েছে রাস্তায় ধারে এক স্কুল মাঠে, তাও পারুল নামে এক পাগলীর গর্ভে । রাতের আঁধারে সন্তান সম্ভবা এক পাগলী মায়ের প্রসব বেদনার গগণবিদারী চিৎকার ভারি করে তুলছিল রূপগঞ্জের জনপদ। এমন রাত্রিতে একটি নির্জন জায়গা থেকে চিৎকারের শব্দ শুনে শব্দকে গন্তব্য করে কেউ ছুটে জায়নী কোনো মা-বাবা ভাই-বোন। এটা কোনো বানানো গল্পের শুরু নয়। র্নিমম জীবনের বাস্তবতায় এক ফুটফুটে শিশুর পৃথিবীতে আসার গল্প। লিখেছেন সাংবাদিক বিপ্লব হাসান।
এক গাড়ির ড্রাইভারের তথ্য দেয়া সূত্র ধরেই জানা গেল গল্পের প্লট রূপগঞ্জ। রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের পুনাব স্কুল মাঠে শনিবার ভোর রাতে পারুল (২৬) নামের একজন মানসিক প্রতিবন্ধী এক কন্যা সন্তান প্রসব করেছেন। পারুল হলেন ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মনিরাম বাজার এলাকার সালামত হাজীর মেয়ে।
স্থানীয়দের মতে, পারুল প্রায় ৪-৫ মাস ধরে মানুসিক অসুস্থ্য অবস্থায় রূপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরাফেরা করতেন। প্রসববেদনায় মানসিক প্রতিবন্ধী পারুলের চিৎকার শুনে স্থানীয় কোনো লোক আসে নাই। পারুল মা হলেন কেউ তার পাশে এই কন্যা সন্তানের বাবা হয়ে আসে নাই। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও জায়গা হলো না। শিশুটির নাড়ি কাটা হয়নি। অদূরেই লোকালয় থেকে কয়েকজন নারীকে ডেকে আনলেও কেউ শিশুটির নাড়ি কাটতে রাজি হচ্ছিলেন না।
কেউ পাগলীর সেবায় আসতে রাজি হয় না। তার পরে অযবশেষে সাংবাদিক বিপ্লব হাসান নিজেই আসেন পাগলীর সেবায়। এখন শিশু ও পাগলী মা কিছুটা ভালো আছেন। অনেকেই প্রশংসা করছেন যারা পারুলের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আবার আবার অনেকেই মানুসিক প্রতিবন্ধীকে র্ধষণকারীকে খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিও জানিয়েছেন। একজন বলেন পাগলীটা মা হলেন, বাবা হলেন না কেউ।
কেউ কেউ বলেন, শিশুটিকে দত্তক নেয়ারও আবেদন করেছেন। কিন্তু পারুল শিশুটিকে হাত থেকে ছাড়ছেন না। এবং শিশুটি নিয়ে নেবে ভেবে হাসপাতালে গেলেন না।