পরকিয়ার কারণ বলাতেই আজ আমার মৃত্যু!

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : পরকিয়ার কারণ বলাতেই আজ আমার মৃত্যু বরণ করতে হলো মা মেয়ে তিন জন ঐ তিন জনের সাথে সম্পর্ক । আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী উর্মি , নূরু,রোমানা, সেলিম, কণ্পনা করিম , সমা , কাইল্লা ইকবাল আর রোমানার আত্বিয়রা । উর্মির ৩/৪ সিম রোমার নাম্বার নূরুর নাম্বারে এর কল লিষ্ট বের করলে সব পরিস্কার হবেভ উর্মি রুমার সাথে নুরুর কি সম্পর্ক? এসব কথা পেন্সিল দিয়ে দেয়ালে লিখে আত্মহত্যা করলেন সিরাজুল ইসলাম প্রধান নামের এক গৃহকর্তা। এঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী কে ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

নগরীর গলাচিপা কলেজ রোড এলাকায় আশরাফুজ্জামান মিয়ার বাড়ি থেকে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় একজনের অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। ঘটনার খবর পেয়ে মূহুর্তের মধ্যেই কয়েকশত লোক ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয়।

২৪ জুন শুক্রবার বিকাল ৩ টায় গলাচিপার কুড়িপাড়া এলাকা সংলগ্ন বাড়ির ২য় তলার একটি রুম থেকে সিরাজুল ইসলাম (৩৮) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় মৃত ব্যক্তি রুমের দেয়ালে মৃত্যুর কারন এবং এর সাথে জড়িত কয়েক জনের নাম লিখিত ভাবে উল্লেখ করে যান। তবে এ বিষয়ে কোন সুনির্দিষ্ট প্রমান হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কাউকে আইনের আওতায় আনা হবে না বলে দাবী করেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

নিহতের বোন তাছলিমা আক্তার  ভাইয়ের আত্মহত্যার খবরপেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন । লাশ দেখে মূহুর্তের মধ্যেই  কিং কর্তব্য বিমূঢ় হয়ে পড়েন।মানুষের হৈচৈ হট্টোগোলে এক পর্যায়ে স্বাভাবিকবস্থায় ফিরে আসেন । ঘটনাস্থলে উপস্থিত সংবাদ কর্মীরা তাকে প্রশ্ন করার পর নিহতের বোন তাছলিমা আক্তার  দীর্ঘ নি:শ্বাস ছেড়ে বলেন, আমার ভাই তার স্ত্রীর পরকিয়ার বলি হয়ে অকালে প্রাণ হারালো। বিভিন্ন সময় তার স্ত্রী রোমানা এলাকার বখাটে ছেলেদের সাথে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকতো। আর আমার ভাই এর প্রতিবাদ করলে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিভিন্ন সময় প্রান নাশের হুমকি দিতো। গত সপ্তাহে তার স্ত্রী মোবাইল ফোনে আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করেছে। বলেছে আমার ভাইকে সাবধান হয়ে যেতে নতুবা পরিনতি খুব খারাপ হবে। মৃত্যুর আগে আমার ভাই সব কিছু লিখে গিয়েছে। এখন প্রশাসন এর বিচার করবে।

আত্মহননকারীর স্ত্রী রোমানা বলেন, গত ১৭ই জুন শুক্রবার আমার বোনের নবজাত শিশুর মৃত্যু হওয়ার কারনে ঢাকা শ্যামলীতে অবস্থান করতে ছিলাম। আজ খবর পেয়ে আমি বাড়িতে এসেছি। এর বেশি আর কিছু বলতে পারছি না।

মৃত্যুর আগে আত্মহননকারী সিরাজুল ইসলাম যা লিখে যান পাঠকদের সুবিধার্থে হুবহু তা উলেখ্য করা হলো:-

আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী উর্মি, নুরু, রোমানা, সেলিম, কল্পনা করিম, সমা, কাইল্লা ইকবাল ও রোমানার আত্বীয়-স্বজন। উর্মির সীম, রোমানার নাম্বার নুরুর নাম্বার এর কল লিষ্ট বের করলে সব পরিষ্কার হবে। উর্মি রুমানার সাথে নুরুর কি সর্ম্পক?

আরেকটি দেয়ালে লিখে যান, পরকীয়ার কারন বলতেই আজ আমার মৃত্যুবরণ করতে হলো, মা মেয়ে ৩ জনের সাথে সর্ম্পক।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে চাদঁপুর উত্তর মতলব থানাধীন ছেঙ্গার চর এলাকার মৃত বজলুল মিয়ার মেয়ে রোমানার সাথে দক্ষিণ মতলব একলাসপুর এলাকার মৃত মোবারক আলীর ছোট ছেলে সিরাজুল ইসলাম পারিবারিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবব্ধ হন।

এ বিষয় ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করার জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টির রহস্য বের করার জন্য আত্মহননকারীর স্ত্রী ও তার বোনকে আনা হয়েছে। তবে এ বিষয় কোন সুনির্দিষ্ট প্রমান হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কাউকে আইনের আওতায় আনা যাবে না।

এলাকাবাসীর সূত্র থেকে জানা যায়, রংধনু বিউটি পার্লার এর মালিক রোমানা আর একই এলাকার বখাটে নূরার সঙ্গে রোমানার পরকীয়ার সর্ম্পক ছিল। যা নিয়ে রোমানা ও তার স্বামী সিরাজের সাথে প্রতিনিয়ত ঝগড়া হতো। গত বৃহস্পতিবার রোমানা নূরু এবং তার কয়েক জন সহযোগি নিয়ে সিরাজকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করেন একারণে হয়তো আজ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন অসহায় সিরাজ।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত