নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রির্পোটার ) : পপুলার হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ল্যাবে ডাক্তার পরিচয়ে রোগী দেখার সময় মো: কামাল হোসেন (৪৩) ও মায়া বেগম (৩৬) নামে দুই জন ভুয়া ডাক্তার আটক করেছে র্যাব-১১।
৮ জুলাই সোমবার রাত আনুমানিক ১০ ঘটিকার সময় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগাংরোডে অবস্থিত হাজী রজ্জব আলী সুপার মার্কেট এর ৩য় তলায় পপুলার হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ল্যাব থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় আটককৃত দুই জন ভুয়া ডাক্তারের কাছ থেকে ডাক্তার হিসেবে রোগী দেখার প্রেসক্রিপশন, বিভিন্ন প্যাথোলজিক্যাল রিপোর্ট, এক্স-রে রিপোর্ট ও আল্ট্রাসনো রিপোর্ট উদ্ধার করা হয়েছে।
৯ জুলাই মঙ্গলবার র্যাব-১১ এর মো: জসিম উদ্দীন চৌধুরী, পিপিএম গনমাধ্যমকে এক বিবৃতে জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ৮ জুলাই সোমবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগাংরোডে অবস্থিত হাজী রজ্জব আলী সুপার মার্কেট এর ৩য় তলায় পপুলার হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ল্যাব এ রোগী দেখার সময় ভুয়া ডাক্তার ১। মো: কামাল হোসেন (৪৩), পিতা- আব্দুস সালাম এবং ২। মায়া বেগম (৩৬), স্বামী- নাদিম মিয়াকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাক্তার হিসেবে রোগী দেখার প্রেসক্রিপশন, বিভিন্ন প্যাথোলজিক্যাল রিপোর্ট, এক্স-রে রিপোর্ট ও আল্ট্রাসনো রিপোর্ট উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, আটককৃতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় মো: কামাল হোসেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মায়া বেগম চেয়ারম্যান হিসেবে প্রায় ২ বছর যাবৎ কোন সরকারি অনুমোদন না নিয়েই পপুলার হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ল্যাব পরিচালনা করে আসছে। তা ছাড়া তারা দীর্ঘ দিন নিজেদেরকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে উক্ত হাসপাতালে নিয়মিত রোগীও দেখে এবং বিভিন্ন ডাক্তারের নামে ভুয়া প্যাথোলজিক্যাল ও আল্ট্রাসনো রিপোর্ট তৈরি করে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছে। র্যাবের অভিযানিক দল পপুলার হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ল্যাব এর সরকারী অনুমোদন দেখতে চাইলে কোন অনুমতিপত্র দেখাতে পারেনি। হাসপাতালের এমডি মো: কামাল হোসেন ও চেয়ারম্যান মায়া বেগম পরষ্পর যোগসাজসে রোগী দেখে, বিভিন্ন প্রকার অপ্রয়োজনীয় টেষ্ট দিয়ে রোগীদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়ে রোগীদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারনা করে আসছে। আটককৃত আসামীদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।