নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : এলাকার পঞ্চায়েতের রেশা রেশি ও বিরোধের জের ধরেই আমার বড় ভাই আলহাজ্ব কুতুব উদ্দিন (৭০) কে এলাপাথারি কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। বন্দরে থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবেদ হোসেন ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা এই অভিযোগ করেন।
সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায় সন্ত্রাসীরা বাড়িতে প্রবেশ করে কুতুব উদ্দিন কে কুপিয়ে যখম করার পর মূমর্ষ অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ ৩শ শয্যা হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত্যু ঘোষনা করলে স্বজনরা হাউ মাউ করে কেঁদে উঠে । ক্রন্দনরত অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ এর প্রতিবেদককে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবেদ হোসেন উল্লেখিত অভিযোগটি করেন।
২৭ জুন সোমবার এ হত্যাকান্ড ঘটার সময় চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এসে ছুরিসহ শামীম (২৫) নামে এক খুনীকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। এরপর রাতেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
২৮ জুন মঙ্গল বার নিহতের ভাই বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবেদ হোসেন সে একই অভিযোগ করে সংবাদ কর্মীদের জানান , আমার ভাই বাড়ির পাশে মুদি দোকানে ব্যবসা করতেন। স্থানীয় পঞ্চায়েতের বিরোধের জের ধরে জাতীয়পার্টির নেতা আজিজুল হক আজিজ ও রাজা মিয়া ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে আমার ভাইকে খুন করিয়েছে। তারা ৯০ সালেও একবার আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিল। রাতে খুনীরা তাকে মোবাইল ফোনে বলে তার দোকানে তালা দেয়া হয়নি, তালা খোলা রয়েছে। এ কথা শুনে তিনি তার রুম থেকে বেরিয়ে নিচে চলে এলে সন্ত্রাসীরা তাকে এলাপাথারি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় তার চিৎকার শুনে এলাকাবাসী বেরিয়ে এসে সন্ত্রাসী শামীমকে ধরে ফেলে এবং মুর্মূষু অবস্থায় তার ভাইকে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। নিহত আলহাজ্ব কুতুব উদ্দিন বন্দরের সোনাকান্দা এলাকার মৃত ইউনুছ আলীর ছেলে।
এ ব্যপারে বন্দর থানার ইনস্পেক্টর (তদন্ত) হারুন অর রশিদ জানান, নৌ-বাহিনী পরিচালিত ডক ইয়ার্ডের গেইটের উল্টো দিকে নিহত কুতুব উদ্দিনের বাড়ি। বাড়ির সামনেই তিনি খুন হন। খুনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রেফতারকৃত ভাড়াটিয়া খুনী শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। এ হত্যার ঘটনায় আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবেদ হোসেন বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৫৫(৬)১৬। মামলার এজাহারে আসামীরা হলো নারায়ণগঞ্জ মহা নগর জাতীয়পার্টির ১ম যুগ্ম আহবায়ক আজিজুল হক আজিজ, তার ভাই সাজু, লেংরা বাচ্চু, পাকিস্তানী লিটন, ধৃত শামীমসহ ৮ জন। এদিকে ময়না তদন্ত শেষে বাদ যোহর লাশ এলাকায় এনে জানাজা শেষে লাশ নিয়ে খুনীদের ফাঁসির দাবিতে মিছিল করে কবরস্থানে নেয়া হয়। এ ঘটনার পর থেকে জাতীয়পার্টি নেতা ও তার সাঙ্গপাঙ্গোরা পলাতক রয়েছে। রাতে লেংরা বাচ্চুই নিহত কুতুব উদ্দিনকে মোবাইলে ফোন করে নামিয়ে আনে। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে ভাব রিবাজ করছে। মামলার বাদী আলহাজ্ব আবেদ হোসেন তার ভাইয়ের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি যাতে হয় এ জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।