নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (ডেস্ক রিপোর্ট ) : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন বিএনপি নামক দলটি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলে নির্বাচনে না আসার সকল প্রকার ফন্দি এঁটে চলেছেন। তারা চাই দেশের এই শান্ত পরিবেশকে বিনষ্ট করে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে। কিন্তু বাংলার মাটিতে তাদের সেই স্বপ্নসাধ আর পূরণ হবে না।
বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে দেশের সম্পদ লুটপাট করে অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। তারা অসহযোগ আন্দোলনের নামে সারাদেশে যে আগুন সন্ত্রাস এবং পেট্টোল বোমা মেরে নিরীহ জনগণ হত্যা ও জাতীয় সম্পদ ধ্বংস করে যে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল জনগণ তা আজাও ভুলে যায় নি। তিনি দলের নেতাকর্মীদের তৃলমূলকে সংগঠিত করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে বলিষ্ঠ ভূমিকায় অবর্তীণ হওয়ার আহ্বান জানান।
আজ সকালে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয় মানেই বাংলাদেশের জনগণের বিজয়। জননেত্রী শেখ হাসিনার সাড়ে ৯ বছরের শাসনামলে দেশ আজ উন্নতির শিকড়ে অবতীর্ণ হয়েছে। সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ এবং মাদকের মত মরণব্যাধির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা দেশব্যাপী যে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তাই ইতিমধ্যে দেশ এবং বহিঃবিশ্বে তার সুনাম বৃদ্ধি পেয়েছে। জনাব মাহবুব উল আলম হানিফ মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ডের চলমান ধারাকে আরো গতিশীল করার জন্য নেতাকর্মীদের সমন্বিত প্রয়াসে কাজ করার উদাত্ত আহ্বান জানান।
বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, সাবেক মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এমপি বলেছেন বিএনপি নালিশ পার্টি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তারা দেশের সুনাম নষ্ট করতে দেশ ও দেশের বাইরে গিয়ে শুধু সরকারের সমালোচনায় ব্যস্ত থাকে। তাদের দলীয় কার্যালয়ে শুধু ফটো সেশনের মাধ্যমে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। জনগণ আজ তাদের সাথে নেই। তাই তারা নির্বাচনকে ভয় পায়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন ইতিমধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়িত হবে। তিনি দ্বৈত কমিটিগুলোর স্থলে সবার সাথে সমন্বয় পূর্বক ৩০শে জুনের মধ্যে আহ্বায়ক কমিটি করার আহ্বান জানান। একই সাথে একের অধিক পদবীধারি নেতৃবৃন্দদের আজ থেকেই একটি পদ রেখে বাকি পদ শূন্য ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগ তৃণমূলকে সাথে নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিবে তার প্রতি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সমর্থন থাকবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র চর্চায় বিশ্বাসী। আজকে আমাদের এই রুদ্রতার বৈঠকেও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক ভাইয়েরা উপস্থিত আছেন। তাদের সামনেই আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে আলাপ আলোচনা করছি। সাংবাদিক ভাইদের প্রতি বিনীত আবেদন আপনারা সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে আমাদের মুক্ত চিন্তার সঠিক চিত্র তুলে ধরার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রার সাথে বাংলাদেশের জনগণকে সম্পৃক্ত করার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন যারা এই অগ্রযাত্রায় বাধাসৃষ্টি করবে তাদেরকে আগামী নির্বাচনে জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা মরহুম এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর আমি মহানগর আওয়ামী লীগের সবাইকে সাথে নিয়ে একযোগে কাজ শুরু করেছি এবং প্রতিটি সিদ্ধান্ত আলাপ আলোচনার মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। সামনে জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যার হাতে নৌকার প্রতীক তুলে দিবেন আমরা তাঁকে বিজয়ী করতে সবাইকে নিয়ে সার্বক্ষণিক রাজপথে থাকার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি।
তিনি বলেন, আজকের এই বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যে সিদ্ধান্ত দিবে মহানগর আওয়ামী লীগ সে সিদ্ধান্ত দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, ইপিজেড থানার আহ্বায়ক মো: হারুন অর রশিদ, পাহাড়তলী থানা ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আসলাম হোসেন, ওয়াার্ডের সাংগঠনিক বিষয়ের উপর আলোকপাত করে বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ, মো: শামসুল আলম, রফিকুল হোসেন বাচ্চু, আলহাজ্ব মো: গিয়াস উদ্দিন
মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, মো: দলিলুর রহমান, হাজী মো: হাসান, অধ্যাপক মো: ইসমাইল, শেখ সরওয়ার্দী, মো: আবদুর রহিম। বর্ধিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের এড. সুনীল কুমার সরকার, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, জহিরুল আলম দোভাষ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ রশিদ, কোষাধ্যক্ষ আলহাজ্ব আবদুস ছালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য হোসেন মো: শমসের, চন্দন ধর, আহমেদুর রহমান ছিদ্দিকী, হাজী মো: হোসেন, হাজী জহুর আহমদ, জোবাইরা নার্গিস খান
ইঞ্জি: মানস রক্ষিত, দেবাশীষ গুহ বুলবুল, আবদুল আহাদ, দিদারুল আলম চৌধুরী, ডা: ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, হাজী শহিদুল আলম, জহরলাল হাজারী সহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ, ১৫টি থানা ও ৪৩টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়কগণ উপস্থিত ছিলেন।