নিয়ম মেনে মসজিদে প্রবেশে মুসুল্লিদের স্বস্তি, কমিটির অব্যবস্থাপনায় অসন্তুষ্টি

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : পবিত্র জুমআ আদায়ে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন মসজিদের প্রবেশমুখে লক্ষ্য করা গেছে উপচে পড়া ভিড়। করোনা পরিস্থিতিতে মসজিদ খোলে দেয়ার সরকারী এমন সিদ্ধান্তে অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিদের মাঝে। সামাজিক দুরত্ব কিছুটা হলেও মেনে লাইন ধরেই প্রবেশ করছেন মুসুল্লিরা। শুক্রবার ( ৮ মে) দুপুরে শহরের বিভিন্ন মসজিদের সামনে থাকা স্থান ও সড়কে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে নিয়ম মানার ব্যপারে যথেষ্ট সচেতনতা অবলম্বন করছে মুসুল্লি ও মসজিদ কর্তৃপক্ষ। প্রবেশ করার আগে দেয়া হচ্ছে জীবানুনাশক স্প্রে। জায়নামাজ, জুতো রাখার জন্য পলিথিন কিংবা স্বাস্থ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত না হলে ওইসব মুসুল্লিদের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সবমিলিয়ে সরকারী নির্দেশনা গুলো মেনেই চলছে মসজিদগুলোতে জামাতে নামাজ আদায়।.

অন্যদিকে, মসজিদ কমিটির অব্যবস্থাপনার কারণে অনেক মসজিদেই মুসুল্লিদের ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। কোথাও কোথাও জামাতে নামাজ আদায়ে মুখ চেনা মৌসুমী নামাজীদের প্রাধান্য দিয়ে প্রবেশ করা হলেও, প্রবেশ করতে পারছেনা পাঞ্জেকানা নামাজী  মুসুল্লিরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, মসজিদে জামাতে জুমআ নামাজ আদায় করতে আসা কয়েকজনই কমিটি ও স্থানীয়দের প্রভাব বিস্তারের বিষয়টি জানিয়েছেন। এতে করে মুসুল্লিদের মধ্যে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছেন, গরীব-ধনি, ছোট-বড় সকল পেশার মানুষের জন্যই মসজিদ তৈরী করা হয়। কিন্ত বিভিন্ন সময় কমিটি ও স্থানীয় বিশিষ্ট লোকজনেরা পছন্দমত স্থানে ( প্রথম,দ্বতীয় কাতারে ) জানালা, এসি, পাখার নিচে থাকা স্থান নির্দিষ্ট করে ফেলতে দেখা যায়। যা একটি বৈষ্যমের সৃষ্টি করে এবং দৃষ্টিকটু।

এছাড়াও সরকারের বেঁধে দেয়া সল্প নিয়ম মেনে প্রবেশের নির্দেশনা থাকলেও মসজিদ কমিটির নানা সিদ্ধান্তে চলছে স্বেচ্ছচারিতা, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে তারাবী নামাজ জামাতে আদায়ের ক্ষেত্রে এ ঘটনার অভিযোগ বেশী।

add-content

আরও খবর

পঠিত