নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে র্যালিতে পুলিশের বাধার পর সংঘর্ষের ঘটনায় শাওনসহ সুজন নামে আরেকজন নিহত হয়েছে এমন গুঞ্জন উঠেছে। তবে সুজন নিহতের বিষয়টি সত্য নয় বলে নিশ্চিত করেছেন মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু ও মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শাহেদ আহমেদ। সুজন এই মুহুর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, তোলারাম কলেজের যুগ্ম আহ্বায়ক সুজন খান ফারুক আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছে। আর শাওন নামে ছাত্রদলের এক নেতা পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শাহেদ আহমেদ জানায়, সুজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। তাকে নিয়ে অনেক বিভ্রান্ত ছিল। আসলে সে নিহত নয়। জীবীত আছে।
জানা গেছে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, মহানগর সহ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান, সাংগঠনিক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু, সবুর খান সেন্টু, সোনারগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানসহ নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। তখন নেতাকর্মীরা বৃষ্টির মত ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে ২ নম্বর রেলগেট, ডিআইটি মার্কেট সংলগ্ন, মন্ডলপাড়া ব্রীজ, দেওভোগ, নিতাইগঞ্জ ও বাবুরাইল এলাকায়। ওইসময় শাওন নামে একজন আহত হলে তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শাওন ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নের নবীনগর পূর্ব গোপালনগরের বাসিন্দা ছিলেন। তার পিতা সাহেব আলী।