নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্ট ) : বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীকে আটকের পর গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। একই সময়ে সঙ্গীতশিল্পী ও বিএনপি নেত্রী বেবী নাজনীনকে আটক করা হলেও তাকে ছেড়ে দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবির সিনিয়র সহকারী কমিশনার আতিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ১৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে নিপুণ রায় এবং সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীনকে আটক করে পুলিশ। তবে বেবী নাজনীনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়। আর বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া তিনটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে নিপুণ রায় চৌধুরীকে।
পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি পোড়ানোর মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলের নাইটিংগেল মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। নিপুন রায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পুত্র বধূ।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ পূর্ব বিভাগের উপ-কমিশনার খন্দকার নুরুন্নবী গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিপুন রায়কে আমরা অ্যারেস্ট করেছি। তিনি বুধবারের ঘটনার মামলার আসামি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়ন ফরম বিক্রির সময় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ১৪ নভেম্বর বুধবার পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এসময় বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন নেতাকর্মীরা। এরপর পুলিশের উপর হামলা, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তিনটি মামলায় ইতোমধ্যে ৬৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় নাইটিংগেল মোড় থেকে নিপুন রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে রাজধানীর পল্টন থানার তিনটি নাশকতার মামলায় হেলালসহ বিএনপির ৩৮ নেতাকর্মীকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার তাদেরকে মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে বিচারক পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
এদিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় ভিডিও দেখে ঘটনায় জড়িত ৩০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, তারা সকলেই বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী।
বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, গোয়েন্দা তথ্য ঘটনার কার্যকরণ ও অবস্থান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে শনাক্ত ৩০ জনই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত।
বুধবার ঘটনাস্থল থেকে তাৎক্ষণিক ৬০ জনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে কমিশনার বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ দেখে আরো অপরাধীকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।’
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, পুলিশের ওপর আক্রমণটা ছিল সম্পূর্ণ পূর্ব পরিকল্পিত। ইতিমধ্যে আমরা বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে তাদের অনেকের পরিচয় পেয়েছি। প্রায় ৩০ জনের মতো শনাক্ত করেছি। বাকিদেরও শনাক্ত করণের কাজ চলছে। তারা সকলেই বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী।
আছাদুজ্জামান আরো বলেন, তিনটি মামলা হয়েছে। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তারা মামলার আসামি হবে, হয়েছে। যারা নির্দেশ দিয়েছে তারা মামলার আসামি হয়েছে। যারা পরিকল্পনা করেছে তারা মামলার আসামি হয়েছে। তিনি জানান, ১৭৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।