নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন ও উৎসব ভাতা পরিশোধ করতে সদস্যভুক্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠান গুলোকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন নীট গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বিকেএমইএ। পাশাপাশি দেশের চলমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে সকল নীটশিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিককে নিজ দায়িত্বে অথবা নিজস্ব প্রতিনিধির মাধ্যমে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের শ্রম শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিশেষ ভাবে তদারকি করার জন্য বিকেএমইএ পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে।
সোমবার ৬ আগস্ট শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে অবস্থিত বিকেএমইএ প্রধান কার্যালয়ে বিকেএমইএ সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিকেএমইএ এর পরিচালনা পর্ষদের মাসিক সভায় এ নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
সভায় উল্লেখ করা হয়, চলতি মাসের ২১ অথবা ২২ তারিখে পবিত্র ঈদ উল আযহা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে শ্রমিকদের জুলাই মাসের বেতনের পাশাপাশি আগস্ট মাসে যে’কদিন কারখানা চলবে সে কদিনের বেতন এবং উৎসব ভাতা অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। কোন অবস্থায় কোন প্রতিষ্ঠান এ সিদ্ধান্তের প্রত্যয় ঘটালে বিকেএমইএ এর পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এছাড়াও শ্রমিকদেরকে পর্যায়ক্রমে ছুটি প্রদান করা হবে। সরকারী ছুটির পরে কারখানা খোলা রাখার প্রয়োজন হলে তা নিজ নিজ কারখানার শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে এবং একইসাথে বিকেএমইএকে অবহিত করে ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
অপরদিকে আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে এবং দেশে বর্তমান চলমান পরিস্থিতিকে পুঁজি করে যাতে কোন স্বার্থনেষী মহল বা বহিরাগত শ্রমিক নেতা নামধারী কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য প্রতিটি শিল্পকারখানার মালিকদের নিজস্ব প্রতিনিধির মাধ্যমে সার্বক্ষনিক কর্ম পরিবেশ তদারকি এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করার সুপারিশ করেছেন বিকেএমইএ সভাপতি সেলিম ওসমান।
এক্ষেত্রে ঈদের পূর্বে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে এবং ঈদ-পরবর্তী সরকারী ছুটির দিনগুলো ছাড়া বিকেএমইএ এর তিনটি কার্যালয়েই (নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও চট্টগ্রাম) মনিটরিং সেল খোলা থাকবে। তাই বিকেএমইএ এর সদস্য ভুক্ত যে কোন কারখানায় যে কোন ধরনের অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে বা সৃষ্টি হওয়ার ইঙ্গিত পেলে তাৎক্ষণিক বিকেএমইএ কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব প্রাপ্তরতদের জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়।
এ ব্যাপারে বিকেএমইএ এর পক্ষ থেকে সকল সদস্য প্রতিষ্ঠান সহ নীট সেক্টরের সাথে সংশ্লিষ্ট সরকারী সকল দপ্তর গুলো লিখিত আকারে জানানোর সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিকেএমইএ প্রথম সহ সভাপতি মনসুর আহম্মেদ, দ্বিতীয় সহ সভাপতি এহসানুল হক শামীম, সহ সভাপতি(অর্থ) হুমায়ন কবির খান শিল্পী, পরিচালক মঞ্জুরুল হক, আবু আহম্মেদ সিদ্দিক, মোস্তফা জামাল পাশা, মজিবর রহমান, মোর্শেদ সারোয়ার সোহেল, শাহাদাৎ হোসেন ভুইয়া সাজনু, খন্দকার সাইফুল ইসলাম সহ পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।