নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নিখোঁজদের তালিকা করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা৷ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুর থেকে বিকেল ছয়টা পর্যন্ত তারা ১২৬ জনের নাম তালিকাভুক্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন সরকারি মুড়াপাড়া কলেজের স্নাতকের ছাত্রী মাহিমা মীর রিপা।
রোববার রাতে আগুন লাগলেও মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আমরা কারখানাটিতে এসে দেখে দেখেছি প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো তালিকা করা হচ্ছিল না৷ নিখোঁজদের স্বজনরা হাতে ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কিন্তু কেউ তাদের নামগুলো তালিকাভুক্ত করছিলেন না। প্রশাসনের কারও কাছে নিখোঁজের সংখ্যা জানতে চাইলেও তারা জানাতে পারছিলেন না৷ মিডিয়াতে দেখেছি ফায়ার সার্ভিস একটি নিখোঁজ তালিকা করেছিলেন, কিন্তু আমরা তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা তালিকার করার কথাটি অস্বীকার করেন৷ ফলে আমরা স্টুডেন্টরা অন্তত এ দুর্ঘটনায় অন্তত কতজন নিখোঁজ আছে তা পাবলিকালি জানানোর জন্যই দুপুর থেকে তালিকা করা শুরু করি।
প্রশাসনের তালিকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সন্ধ্যা সাতটায় ডিসি বলেন, রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনকে নিখোঁজদের একটি তালিকা করার নির্দেশনা দেবার পর তারা তালিকা করা শুরু করেছেন৷ তবে তালিকায় কতজন রয়েছেন এ মুহুর্তে বলতে চাচ্ছি না। শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রসঙ্গে বললে ডিসি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের তালিকাটিও সংগ্রহ করবো৷ দুটো মিলিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা হবে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, মামলাটি মূলত মালিকপক্ষেরই করা উচিত৷ তারা এখনো মামলা করেননি। এদিকে, আগুনের ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পরও আগুন পুরোপুরি না নেভায় উদ্ধার অভিযান শুরু করতে না পারায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের অপেক্ষা দীর্ঘ হচ্ছে৷
রাত আটটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিখোঁজদের স্বজনদের কারখানার প্রধান ফটকের বাইরে অপেক্ষমান দেখা গেছে। অন্যদিকে আগুনের ঘটনায় গাজী টায়ারস কারখানার কর্মরত কোনো কর্মী নিখোঁজ নেই বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক কামরুজ্জামান।