নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরে আল নূর মসজিদে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার প্রবাসী মো: ওমর ফারুক (৩৫) এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ২৭ মার্চ বুধবার সকাল ১০টায় বন্দরের সিরাজউদ্দৌল্লাহ ক্লাব মাঠে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে ওমর ফারুক এর লাশ বন্দর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
সিরাজউদ্দৌল্লাহ ক্লাব মাঠে জানাযায় এ সময় ওমর ফারুক আত্মীয়-স্বজন সহ শতাধিক এলাকাবাসী জানাযার নামাজে অংশ গ্রহন করেন।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওমর ফারুকের মরদেহ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। একই বিমানে জাকারিয়া ভূঁইয়ার মরদেহও ঢাকায় আনা হয়। সেখান থেকে ওমর ফারুকের পরিবারের লোকজন মরদেহ নিয়ে রাত দুই টার দিকে বন্দর উপজেলায় নিজ বাড়িতে নিয়ে যান।
মরদেহ বাড়িতে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গেই কান্নার রোল পড়ে যায়। নিহতের পরিবারের কান্নায় আশপাশের লোকজনও কান্নায় ভেঙে পড়েন। সারা রাত বাড়িতে মরদেহ রাখার পর সকাল সাড়ে ১০টায় বন্দর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে নির্বিচারে গুলি চালায় অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ব্রেন্টন টারেন্ট। এতে ৫০ জন নিহত হন। এর মধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশি। সেদিন মসজিদে নামাজ আদায় করতে গেলেও একটু দেরিতে যাওয়ায় বেঁচে যান নিউজিল্যান্ডে সফররত বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।
নিহত পাঁচ বাংলাদেশির মধ্যে গত শুক্রবার সিলেটের হুসনে আরা আহমেদ ও কুড়িগ্রামের ড. আবদুস সামাদকে ক্রাইস্টচার্চে দাফন করা হয়। নিহত মোজাম্মেল হকের মরদেহ আজ বুধবার রাত ১১টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। আর ওমর ফারুক ও জাকারিয়া ভূঁইয়ার মরদেহও গতকাল দেশে আনা হয়।
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের আবদুর রহমানের ছেলে ওমর ফারুক। তিন বোনের একমাত্র ভাই। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছিলেন ওমর ফারুক। সংসারে সচ্ছলতা আনতে প্রথমে গিয়েছিলেন সিঙ্গাপুর। সেখানে কয়েক বছর কাটানোর পর দেশে এসে নিউজিল্যান্ডে পাড়ি জমান। সেখানে গত চার বছর ধরে থাকতেন। দুই বছর আগে দেশে এসে বিয়ে করেন। গত নভেম্বরে দেশে এসেছিলেন, ফিরে যান জানুয়ারিতে। সেখানে একটি কন্সট্রাকশন কোম্পানিতে কাজ করতেন। তার স্ত্রী সানজিদা জামান তিন মাসের অন্ত:সত্ত্বা।