নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নগর প্রতিনিধি ) : চিকিৎসার জন্য ভারত যাওয়া হলো না ডাঃ বিমল চন্দ্র ভদ্রের। টিকেট, ফ্লাইটের সময় ঠিকঠাক। কিন্তুু বিমানের ওঠার আগেই সবাই কে কাদিঁয়ে পরপারে চলে গেলেন তিনি। না ফেরার দেশেই যেন হলো তার চিকিৎসা নেয়ার শেষ ঠিকানা। ২০ জুলাই বুধবার দুপুর ১২ টায় মর্মস্পর্শী হৃদয় বিদারক এমন ঘটনা টি ঘটেছে ডাঃ বিমল চন্দ্র ভদ্্েরর চানমারী মাউরাপট্রিস্থ বাস ভবনে। এ সময় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। ভারতে চিকিৎসার জন্য বুধবার বিকাল ৫ টার ফ্লাইটে তার ভারত যাওয়ার কথা ছিল। সকালে শহরের ৩টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রার্থনার জন্য বের হয়ে সাড়ে ১১টায় বাড়ী ফেরেন। খাবার টেবিলে ভাত মুখে নেয়া মাত্র হঠাৎ তার মুখ, নাক দিয়ে অতিরিক্ত ক্ষরণ হয়। হাসপাতালে নেয়ার আগেই তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। খবর পেয়ে ডাঃ ভদ্রের শোক সন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে ছুটে আসেন নারায়নগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) মোঃ ছারোয়ার হোসেন। তিনি ডাঃ ভদ্রের মাষ্টাস পড়–য়া কন্যা এবং এলএলবি (অনার্স) পড়–য়া পুত্র কে সান্তনা জানান। তার বড় মেয়ে ভারতে বসবাস করে। এ ছাড়া অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ ভূইয়া, অধ্যাপক কামরুজ্জামান ভূইয়া, অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আশরাফুর রহমান, কল্যাণী সেবা সংস্থার সভাপতি ডাঃ জব্বার চিশতী, আওয়ামীলীগ নেতা রোকন উদ্দিন আহমেদ, স্থানীয় পঞ্চায়েতের নাসির হোসেন, শফিকুল ইসলাম মন্টু, নিখিল বাবু, মনোয়ার হোসেন মনুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দসহ শহরের গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ শোকার্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে ছুটে আসেন। সন্ধ্যায় মাসদাইরস্থ সিটি শ্নাশানে ডাঃ ভদ্রের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
বুধবার দুপুর ১২ টায় ডাঃ বিমল চন্দ্র ভন্দ্র ফতুল্লা থানাধীন চানমারী মাউরাপট্রি নিজ বাস ভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে স্বগীয় ডাঃবিমল চন্দ্র ভদ্রের বয়স ছিল ৬৫ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ কন্যা, ১ পুত্র সহ আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। ডাঃ ভদ্রের পরলোকগমনে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রট মোঃ ছারোয়ার হোসেন। ডাঃ বিমল চন্দ্র ভদ্র ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা, কিন্তুু তিনি মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পত্র নেননি বলে তার স্বজনরা জানান। তিনি মাক্রোম্যাক্্র্য এর এমডি, শহরের নতুন পালপাড়াস্থ তারকনাম ধমের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, তানজিম হোমিও কলেজের ডোনার সদস্য, কল্যাণী সেবা সংস্থার সহ সভাপতি, সমমনার সদস্যসহ বিভিন্ন ধমীয়, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন।