নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : ১৩ বছরেও শেষ হয়নি নারায়ণগঞ্জে সিরিজ বোমা হামলার বিচার। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশের মত নারায়ণগঞ্জেও সিরিজ বোমা হামলার বিচার কার্য্যক্রম ১৩ বছরেও শেষ হয়নি। এখনো চলছে মামলার বিচারিক কার্য্যক্রম। আসামীদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলা থাকায় হাজির করতে না পারার কারণেই কার্যক্রম বিলম্বিত হচ্ছে জানিয়েছেন সরকারী কৌশলী।
সম্প্রতি সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলার অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বোমা বিষ্ফোরনের ঘটনার মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী কেফায়েতুর রহমান ওরফে নোমানকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
নারায়ণগঞ্জে বোমা হামলার ঘটনায় কেউ হতাহতের ঘটেনি। এ ঘটনায় সে সময়ের ফতুল্লা মডেল থানার এস আই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে দুইটি পৃথক মামলা করেন। মামলায় প্রথমাবস্থায় অজ্ঞাতজনদের আসামী করা হয়।
পরবর্তীতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) দ্বায় স্বীকার করায় এ সংগঠনের প্রধান সহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে ২০০৬ সালের ২৯ জানুয়ারী আদালতে চার্জশীট দেয় পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুর রহিম জানান, সিরিজ বোমা হামলার মামলাটি নারায়ণগঞ্জ ২য় ট্রাইব্যুনাল আদালতে বিচারাধীন আছে। যেহেতু এই প্রসঙ্গে সারা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলায় মামলা হয়েছে আলাদা আলাদা। তৎ কারণে মামলাটি বিলম্বিত হচ্ছে। সেটা এখন সাক্ষী পর্যায়ে আছে। সাক্ষী যারা পলাতক আছে কিংবা জেলখানায় আছে তাদেরকে সাক্ষীর তারিখে উপস্থিত করা যাচ্ছেনা একারণে যেহেতু তাদের সারা বাংলাদেশে হাজির করানো হয়।
তবে আমরা জজ বাহাদুরের কাছে আবেদন রেখেছি তাদেরকে যেন দুই মাস নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে রাখা হয়। তাহলে নারায়ণগঞ্জের মামলাটি শেষ করতে পারবো।
তিনি আরো জানান, পাশাপাশি ২১ আগস্ট আওয়ামীলীগ অফিসে একই আসামী বোমা হামলা করেছিল যেখানে ২২টি প্রাণ ঝড়ে গিয়েছিল। একই মামলা একই কারণে বিলম্বিত হচ্ছে।
তবে আমি আশা রাখি আমাদের আইন কর্মকর্তাসহ জেলা প্রশাসনে ও জজ বাহাদুররের কাছে আবেদন রেখেছি দুটা মাস যেন আসামীদের জেলা কারাগারে রাখা হয় যেন আমরা মামলাটির কার্যক্রম দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পারি।