নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহামুদ বলেছেন, আমি নৌকার মাঝি হয়ে বসে আছি। আপনারাই তৈরী না। আমি কমিটি করে দেই। আমার সাথে ষড়যন্ত্র করেন। নৌকার যাত্রী যারা হতে চান তারা আসেন। যাদের ইমান দুর্বল তারা নৌকায় উইঠেন না। তবে দুই নৌকায় পা দিবেন না। আমি বাঘ, লায়ন কে বিশ্বাস করিনা। আমি আল্লাহ ও রাসুলকে ভালোবাসি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারণা পরিচালনা কমিটির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
রবিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় বরফকল ঘাট সংলগ্ন বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন ট্রেনিং সেন্টারে এ সভার আয়োজন করা হয়। এরআগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যকালে বন্দর থানা শ্রমিক লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হক মহানগর নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেছেন, এমপি শামীম ওসমানের জনসভায় যোগ দিলেন, ব্যানারে লিখা দেখলাম শুধু মহানগর, জেলা দেখলাম না। কিন্তু আপনারা সেই সভায় যোগও দিলেন। এই বিষয়টা আমি পরিষ্কার না। এছাড়াও উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা এসময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে শুক্কুর মাহামুদ আরো বলেন, মহানগর কমিটি আমি দিয়েছি। নেতৃত্ব বাড়ানোর জন্য জাহাজ ও নৌ পরিবহন সহ মহীলা শ্রমিক কমিটি দিয়েছি। আমি জাহাজ বন্ধ করে দিলে নারায়ণগঞ্জের কোন বেটা নাই, এই জাহাজটা কেউ চালাতে পারে। কখনো ক্ষমতা দেখাই নাই। শক্তি প্রর্দশন করতে আসি নাই। ষড়যন্ত্রকারীরা আমার সাথে থাকতে পারবেন না। কারো ধরে এই অবস্থানে আসিনি। আমার যোগ্যতার কারণেই শেখ হাসিনা আমাকে নমিনেশনও দিয়েছিলো। আমি দুর্বল না। এজন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এখানে বসিয়েছে (জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি) ।
মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. কাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, বন্দর থানার সভাপতি রায়হান, জাহাজী শ্রমিক ফোডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম মোস্তফা, জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান।
নির্বাচনে অংশগ্রহনের বিষয়ে তিনি বলেন, যেদিন নমিনেশন কিনতে যাবো, সবাই যাবেন। ঢাকায় মিছিল করবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্লোগানে রাজপথ কাপাবো। তাই অনুরোধ, আগামী দিন একমাথে কাজ করবো। প্রতিটি ইউনিয়ন, ওর্য়াড প্রচারণা পরিচালনা কমিটি করেন। আমাকে ডাকবেন যাবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন করছে। তিনি নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাস ধমন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ওয়াদা দিয়েছেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দিবেন। আমি কখনো কারো কাছে আত্মসমর্পন করে রাজনীতি করিনি এবং ভবিষ্যতেও করবোনা।
ওই নেতার বক্তব্যের প্রতিউত্তরে মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. কাজিম উদ্দিন বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান মহানগর শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দকে তার জনসভায় যাওয়ার জন্য সম্মান দিয়ে দাওয়াত দিয়েছেন বলেই মহানগরের ব্যানারে ২৭ তারিখের জনসভায় যোগদান করেছিলাম। আর এই সভা শুধু শামীম ওসমানের নয় নৌকার জন্য সভা। আর তিনি শুধু নারায়ণগঞ্জের নেতাই নয়, তাকে সারা বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দরা সম্মান করে। তিনি ডাকলে সেকেন্ড হাজারো নেতাকর্মী জরো হয়। শামীম ওসমানের সভায় আমি যাবোই। সেখানে যাওয়া যদি অপরাধ হয় তাহলে কিছু করার নেই। আর নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে শুক্কুর মাহমুদ কে এটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী জানেন।
জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুদ্দিন আহম্মেদ বাবুল’র সঞ্চালনায় এছাড়াও বক্তব্য রাখেন দপ্তর সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, আইন বিষয়ক সম্পাদক সাবুদ্দিন পাঠান, জাতীয় মহিলা শ্রমিক লীগের সম্পাদিকা হাসিনা রহমান সুমি, মো. কামাল হোসেন, নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার, যুব শ্রমিক লীগের সভাপতি আরিফ হোসেন, শেখ মো. আসলাম, মো. ইকবাল হোসেন প্রমুখ।