নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব প্রতিবেদক ) : অবশেষে বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্য ঠোকাতে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান হওয়া কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু। বিগতসময় আওয়ামীলীগের সমর্থিত চেয়ারম্যান হিসেবে দলটির সমর্থনে রাজপথে না দেখার কারণে ব্যপক আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন তিনি।
তবে এবার ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের জরুরী সভায় সম্প্রতি কোটা ইস্যুতে আন্দোলনে যেভাবে রাষ্ট্রিয় সম্পদে ধ্বংসলীলা চালানো হয়েছে এ ধরণের নৈরাজ্য একাত্তরকে হার মানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চেয়ারম্যান সেন্টু। বুধবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় কাশিপুর ইউনিয়নের দলীয় কার্য্যালয়ের মিলানয়তনে ফুতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জরুরী সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে যে অবস্খা বিরাজ করছে। কোটা আন্দোলন নিয়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আমি দেশের বাহিরে ছিলাম, এসেই মর্মাহত হলাম। এতো আন্দোলন হলো, এরশাদ বিরোধী আন্দোলন হলো। এতো ভয়াবহতা কখনই হয় নাই। আমি দলের (আওয়ামী লীগ) নেতাদের সাথে যোগাযোগ করলাম। তারা আমাকে বললেন যেন প্রতিহত করার জন্য ব্যবস্থা নেই। এরই মধ্যে সাইনবোর্ড এলাকা যেন ধ্বংস স্তুপে পরিণত হয়েছে। তারপরেও আমি আজ এই মিটিংয়ে বলতে চাই। আন্দোলন আছে থাকবেই। প্রত্যেক দলের মধ্যেও আভ্যন্তরীন কোন্দল আছে থাকবে। কিন্তু এখন কাদা ছোড়াছুড়ি করা যাবে না। যে অবস্থা চলছে। প্রধানমন্ত্রী দেশ রক্ষায় কাজ করছে। আমাদের এখন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে নামতে হবে। সে যদি আমার ভাই হোক, বাপ হোক। তারপরেও কোনো ছাড় নাই।
তিনি আরো বলেন, কোনো সন্ত্রাসী জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন করবে, তাকে ছাড় দেয়ার কোনো অবকাশ নেই। তাকে ছাড় দিলে আগামীতে আমরাও থাকতে পারবোনা। তাই সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের এমপি শামীম ওসমানের নেতৃত্বে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পরিচালনায় কর্মসূচী দিবেন। আমি আমার পক্ষ থেকে সর্বশক্তি দিয়ে থাকবো। প্রথম যুদ্বটা আমাদের সাথেই হোক। এরপর অবস্থান অনুযায়ী মাঠে থাকবো। সকলে সহযোগীতা করবেন। এখন থেকে কেউ হৈ করে দাঁড়াতে পারবেনা। আমরা সেইভাবে নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মাঠে থাকবো। এসময় জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু যুক্ত করে বক্তব্য সমাপ্তি করেন তিনি।
এ সভায় ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদলের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলীর পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদুজ্জামান, ওয়ালী মাহমুদ, একেএম শহিদুল ইসলাম, আশরাফুল আলম, মোস্তফা কামাল, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোমেন শিকদার, এইচ এম ইসহাক, ফরিদ আহমেদ লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মাসুম, এমএ মান্নান, সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক আমিরুল্লাহ রতন, বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মতি প্রধান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সফিউল্লাহ সফি, কোষাধ্যক্ষ জাকারিয়া জাকির, দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর মাস্টার, প্রচার সম্পাদক জাহেদুল হক খোকন, সহ- প্রচার সম্পাদক রেহান শরীফ বিন্দু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বিউটি, আওয়ামী লীগ নেতা মিছির আলী, জসিম উদ্দিন, আবু মোহাম্মদ শরীফুল হক প্রমুখ।