নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : রূপগঞ্জে নিখোঁজের সাত মাস পর লিটন মিয়া (৪৫) নামে এক রং মিস্ত্রীর কঙ্কাল উদ্ধার করেছে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ। ৯ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার চনপাড়া এলাকার সিটি গ্রুপের বালুর মাঠে বালু খুড়ে কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। নিহত লিটন মিয়া রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া গ্রামের সাহেদ আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় পুর্বগ্রাম এলাকায় ডকইয়ার্ডে রং মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করে করতেন।
রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজিম উদ্দিন জানান, গত সাত মাস আগে লিটন মিয়া নিখোঁজ হয়েছে বলে একটি সাধারন ডায়েরী করেন লিটনের স্ত্রী রোকেয়া আক্তার মুন্নি। পরে পুলিশ সন্দেহজনক ভাবে নিখোঁজ লিটনের শ্যালক শাকিল, মিলন, আলাউদ্দিন, তার সহযোগী রংয়ের ঠিকাদার মুসাসহ ছয় জনকে আটক করে। পরে আটকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে লিটন হত্যাকান্ডের রহস্য বেরিয়ে আসতে শুরু করে। আর তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সন্ধ্যায় চনপাড়া এলাকার সিটি গ্রুপের বালুর মাঠে বালু খুড়ে কঙ্কাল উদ্ধার করে। তবে, হত্যাকান্ডের বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে বলেও জানান এসআই নাজিম।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সুত্র জানায়, লিটন মিয়া প্রায় এক যুগ পূর্বে চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্রের সামসু মিয়ার মেয়ে রোকেয়া আক্তার মুন্নিকে বিয়ে করেন। লিটন মিয়ার শশুর সামসুর চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্রে একটি প্লট ছিলো। ওই প্লটের পাশেই খালি জমি ছিলো। জমি গুলো গভীর গর্ত ছিলো। ধীরে ধীরে গর্ত গুলো বালু দিয়ে ভরাট করে চারটি প্লট নির্মাণ করে লিটন। প্রতিটি প্লট ১৮/২৪ ফুট প্রশস্থ্য। ডেমরা এলাকার কাইল্লা সিরাজ হত্যা মামলার আসামী ছিলেন এই লিটন মিয়া। ওই মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ লিটনকে জেল হাজতে প্রেরন করে পুলিশ। এ সুযোগে লিটনের শশুরসহ শশুর বাড়ির লোকজন লিটনের ওই চারটি প্লট দখলে নিয়ে নেয়। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে লিটন তার চারটি প্লট শশুরসহ শশুর বাড়ির লোকজনের কাছে ফেরত চায় কিন্তু প্লট ফেরত না দিয়ে নানা ভাবে হয়রানি করতে শুরু করে। ওই সময় লিটন ডকইয়ার্ডে রং মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করা শুরু করে। গত সাত মাস আগে লিটন মিয়া নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর লিটনের স্ত্রী রোকেয়া আক্তার মুন্নি বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় সাধারন ডায়েরী করেন। পরিবারের দাবি, প্লট দখলকে কেন্দ্র করেই শশুরসহ শশুর বাড়ির লোকজন লিটন মিয়াকে হত্যার পর গুম করে।
রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, আটকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও খুজে বের করা হচ্ছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।