নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বন্দরে দ্ইু শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত দেলোয়ার হোসেন ওরফে বাবু (৩২) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের রিমান্ডে এনেছে পুলিশ। ২রা সেপ্টেম্বর দুপুরে তাকে জেলা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে আনে পুলিশ। যার মামলা নং- ১৫(৮)২০ ধারা- ১৪৩/ ৩০২/২০১/৩৪ দ:বি:। রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামী দেলোয়ার হোসেন বাবু বন্দর থানার একরামপুর ইস্পাহানী এলাকার আব্দুল গফুর ওরফে কানা গফুর মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বন্দর ফাঁড়ী ইনর্চাজ ইন্সপেক্টর মাসুদ রানা গন্যমাধ্যমকে জানায়, গত ২৮ আগস্ট শুক্রবার রাতে বন্দর ১নং খেয়াঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্কুল ছাত্র জিসান ও কলেজ ছাত্র মিহাদ হত্যার মামলার সনিগ্ধ আসামী দেলোয়ার হোসেন বাবুকে আটক করতে সক্ষম হই। পরে তাকে জিজজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত বুধবার দুপুরে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। আমরা রিমান্ডকৃত আসামী বাবুকে নির্ভির ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।
প্রসঙ্গত, গত ১০ আগস্ট সোমবার বিকালে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সাংবাদিক পুত্র জিসান ও তার বন্ধু মিহাদকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ গুম করার জন্য শীতলক্ষা নদীতে ফেলে দেয় ঢাকা ডিএমপি বাড্ডা এলাকার গোলাম মাবুদ মিয়ার ছেলে মামলার প্রধান আসামী আলভীসহ বন্দর ৩৫নং উইসন রোড এলাকার আলফাজ উদ্দিন মিয়ার ছেলে মোক্তার হোসেন একই এলাকার মৃত সাবেদ আলী মিয়ার ছেলে আহাম্মদ আলী ও তার ছেলে কাশেম একই এলাকার মহর আলী মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন একই এলাকার নলু মিয়ার ছেলে শিপলুসহ আরো অজ্ঞাত ৭/৮ জন সন্ত্রাসী।
এলাকাবাসীর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১১টায় বন্দর ফাঁড়ী ইনর্চাজ ইন্সপেক্টর মাসুদ রানাসহ সঙ্গীয় র্ফোস স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় বন্দর ইস্পাহানীঘাটস্থ শীতলক্ষা নদী থেকে ওই ২ শিক্ষার্থী মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে নিহত স্কুলছাত্র জিসানের পিতা সাংবাদিক কাজিম আহাম্মেদ বাদী হয়ে খুনি আলভীসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ লাশ উদ্ধারে ওই রাতে নবীগঞ্জ বাগবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আলভীসহ উল্লেখিত এজাহার নামিয় ৬ আসামীসহ এ পর্যন্ত এ মামলায় ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়।