নাসিম ওসমান স্মৃতি ফুটবল লীগে মহসিন ক্লাবকে হারিয়ে শিরোপা নিলো সিরাজউদ্ধৌলা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( টাফ রিপোর্টার ) :  টান টান উত্তেজনা আর র্দশকদের উন্মাদনায় সম্পন্ন হলো নাসিম ওসমান স্মৃতি ১ম বিভাগ ফুটবল লীগ এর ফাইনাল খেলা। শনিবার (৮ডিসেম্বর) বিকালে ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে এ খেলায় অংশ নেয় বন্দরের সিরাজউদ্দৌলা ক্লাব বনাম মহসিন ক্লাব।  খেলাটি শুরুর আগেই উৎসুক র্দশকের ভীড়ে গ্যালারী ছিলো কানায় কানায় ভরপুর। তবে লীগের শেষ ম্যাচে খেলাটি এতটা একপেশে হয়ে যাবে এটা ছিলো অভাবনিয়। যা দুই দলের খেলোয়াড়, কোচ, সমর্থক এমনকি নিরপেক্ষ দর্শকরাও কল্পনাও করেনি। কিন্তু সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে মহসিন ক্লাবকে পরাজিত করে বিজয় ছিনিয়ে নিলো বন্দরের সিরাজউদ্দৌলা ক্লাব। আর বলা চলে ওইদিন মহসিন ক্লাবকে একেবারে নাস্তানাবুদ করেই শিরোপা ঘরে তুলেছে বন্দরের সিরাজউদ্ধৌলা ক্লাব।

খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া। লীগে অংশ নেওয়া প্রতিটি দলকে ১ লাখ পঁচিশ হাজার টাকা এবং ৩টি করে ফুটবল প্রদান করা হয়। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ- ৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমানের পক্ষে চ্যাম্পিয়ন দলকে ৫০ হাজার ও রানারস আপকে ৩০ হাজার টাকা দেয়ার ঘোষনা দেন জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি তানভীর আহমেদ টিটু। লীগ সেরা খেলোয়াড়-জুয়েল (সিরাজউদ্দৌলা), সর্বোচ্চ গোল-রোমান (ইসদাইর যুব সংসদ (এন.এফ.এ), ফাইনাল সেরা-বিশাল (সিরাজউদ্দৌলা)।

নাসিম ওসমান স্মৃতি ১ম বিভাগ ফুটবল লীগ এর ফাইনাল খেলা।  মহসিন ক্লাবের হয়ে খেলেছিলেন, শাওন,কাউসার হামিদ(রনি),রাহাত,প্রান্ত,পারভেজ,জিকন(বিপ্লব),রাজন,তপু,হাসান এবং সিরাজউদ্দৌলা ক্লাবের রানা,রাসেল, সালামত,জিগির মিয়া,আহসানুর,অনিক(নয়ন),বিশাল দাস,জুয়েল(আরাফাত),খোকন দাস(রোবেল),টিটু দাস,রিপন। খোলটির রেফারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন  জালাল উদ্দিন, ইমন, সুজন ও জোহার।

এদিকে খেলার শুরুটা খানপুরের মহসিন ক্লাবের খেলোয়াড়দের ভালো হলেও শেষতক তা হতাশায় চলে যায়। শুরুতেই তাদের জোরালো শর্ট সিরাজউদ্দৌলার গোল বারে লেগে ফিরে। আবারও নিশ্চিত গোল থেকেও বঞ্চিত হয় তারা। এরপর যেখানে গোলের ব্যবধান হয়ে দাড়ায় ৪-০। মহসিন ক্লাবও কম যায়নি। কিন্তু সব ভাল তার শেষ ভাল যার। সেটা হয়েছে সিরাজউদ্দৌলা ক্লাবের। খেলার ১০ মিনিটে সিরাজউদ্দৌলার নম্বর টেন বিশাল একক প্রচেষ্টায় মহসিনের সীমানায় ঢুকে গোল করেন ১-০। লীড নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে আরও আক্রমণাতœক হয়ে উঠে সিরাজউদ্দৌলা। মাঝমাঠ দখলে নিয়ে বারবার আক্রমণে নাস্তানাবুদ করেছে মহসিনের ডিফেন্সকে। ক্লান্ত পরিশ্রান্ত মনে হয়েছে মহসিনের খেলোয়াড়দের। সুযোগ নষ্ট করতে চায়নি। গোল বাড়ানোর দিকে নজর দেয়। ৬৪ মিনিটে আবার গোল করেন বিশাল ২-০। বদলী নেমে নয়ন তার গতিতে কাবু করেন মহসিনের ডিফেন্সকে। ৯০ মিনিটে গোল করেন নয়ন ৩-০। হ্যাটট্রিক করার সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগায় বিশাল। ফাইনাল কেলায হ্যাটট্রিক! যোগ করা সময়ে ৯২ মিনিটে তার আশা পূর্ণ করেন ৪-০। খেলার রেফারীর শেষ বাঁশির সাথে সাথে মাঠে নেমে নৃত্য করতে থাকে চ্যাম্পিয়ন সিরাজউদ্দৌলার খেলোয়াড়,কোচ,কর্মকর্তা ও সমর্থকেরা।

এসোসিয়েশনের সভাপতি তানভীর আহমেদ টিটুর সভাপতিত্বে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি কে.ইউ আকসির,এজেডএম ইসমাইল বাবুল,ফুটবল এসোসিয়েশনের সহসভাপতি শহীদ হোসেন স্বপন,কোষাধ্যক্ষ মো. রবিউল হোসেন,সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম নাসির,সদস্য গোলাম গাউছ,মোস্তফা কাওছার,নেয়ামত উল্লাহ মিয়া,জাকির হোসেন,জসিম উদ্দিন,মেহেবুব তালুকদার টগর,ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন শাহিন প্রমুখ।

add-content

আরও খবর

পঠিত