নাসিম ওসমান সেতু উদ্বোধন ১০ অক্টোবর

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব প্রতিবেদক ) : এ মাসেই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম নাসিম ওসমান সেতু। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১০ অক্টোবর চলাচলের জন্য খোলে দয়ো হবে সেতুটি। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সেতুটি উদ্বোধন উপলক্ষে এক প্রস্তুতি সভায় এ কথা জানিয়েছেন জেলা পশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ।

জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, নারায়ণগঞ্জ জেল সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম, সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল।

প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, ১০ অক্টোবর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম নাসিম ওসমান সেতু। ইতমধ্যে ব্রীজের সকল কাজ সম্পন্ন। বাকি সল্প কিছু সড়কের কাজ থাকতে পারে সেগুলো উদ্বোধনের পরও চলমান থাকবে। এটি হলে মানুষের জন্য চলাচলে অনেক সুবিধা হবে।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, সড়ক ও জনপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আখতার, উপসচিব মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোসা. ইসমত আরা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোসম্মৎ রহিমা আক্তার, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রিফাত ফেরদৌস, বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিএম কুদরত-এ-খুদা সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ২০১০ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় ১ দশমিক ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু প্রকল্পের অনুমোদন হয়। সে সময় সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৩৭৭ কোটি টাকা। তখন বলা হয়, এ সেতুর জন্য সৌদি উন্নয়ন তহবিলের (এসএফডি) ঋণ দেবে ৩১২ কোটি টাকা, বাকি টাকা সরকারের। ২০১৩ সালের মধ্যে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু এই প্রকল্পে পরামর্শক ও ঠিকাদার নিয়োগ দিতেই লেগে যায় সাত বছর। এ কারণে প্রকল্পের ব্যয় ও মেয়াদ বাড়াতে হয়েছে।

প্রসঙ্গত, যুগ যুগান্তরের লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষের কষ্ট লাঘবে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর এখন সেতুটি দৃশ্যমান হয়েছে। আর এ সেতুটি চালু হলে দুপারের মানুষের মেল বন্ধনে যেমনি আর্থিকভাবে লাভবান হবে জেলাবাসী তেমনি যোগাযোগের ক্ষেত্রে সময় বাঁচবে বহুগুন। ৬ লেনের ১ দশমিক ১০ কিলোমিটার এ সেতুটি দাড়িয়ে আছে ৩৮ টি ভিতের উপর। সেতুটি হওয়ায় এখানকার মানুষের মানোন্নয়নও বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে আর কোন ভোগান্তি থাকবেনা বলেও স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, সেতু প্রকল্পটি একনেকে ২০১০ সালের নভেম্বরে অনুমোদিত হয়। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। কিন্তু নানা সংকটের কারণে সেতুটির কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয় প্রায় সাড়ে ৬শ কোটি টাকা। এ সেতুটি চালু হলে মুন্সিগঞ্জ থেকে নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লার দক্ষিনাঞ্চলসহ আশেপাশের অন্যান্য জেলার সাথেও যোগাযোগ স্থাপন হবে। পাশাপাশি সুযোগ বাড়বে ব্যবসা ও কর্মসংস্থানের। এদিকে সেতুটি নাসিম ওসমানের নামকরণ করায় স্থানীয়দের প্রাণের দাবী বাস্তবায়ন হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ছেন সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত নাসিম ওসমানের সহধর্মীনী পারভীন ওসমান।

add-content

আরও খবর

পঠিত