নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে, নাসিক ১১নং ওয়ার্ডের এবার বিএনপির একজন কাউন্সিলার কে জয়ী করার জন্য কোমড় বেধে প্রকাশ্যে মাঠে নেমেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন নেতা। দলীয় র্নিদেশের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলী প্রদর্শন করে নিজেরদের ব্যাক্তিগত ফায়দা হাসিলের জন্য দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা আওয়ামীলীগের নেতাদের এমন কর্মকান্ডে হতাশ হয়ে পড়েছে সেই সাথে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে ১১নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ অঙ্গ সংগঠনের সাধারণ নেতা কর্মীদের মনে ।
জানাগেছে, নাসিক নির্বাচনের ঘোষনার পর ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে যুবলীগ সংগ্রামী সভাপতি চঞ্চল মাহমুদ আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন। অপরদিকে উক্ত ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপির নেতা প্রভাবশালী সর্দার পরিবারের সদস্য কোটিপতি জমসেদ আলী জন্টু ও মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন।
নির্বাচন কমিশনের দেয়া নীতিমালাকে সম্মান দেখিয়ে ১১নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের কাউন্সিলর প্রার্থী নীজ প্রচারনায় না নামলেও বিএপির কাউন্সিলর প্রার্থী জমসেদ আলী জন্টুকে সাথে নিয়ে নির্বাচনী বিধিমালা লংঙ্গন করে ১১নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট নূরুল হুদা, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলা সিনেমার সাবেক খলনায়ক ওয়ালী মাহমুদ ও মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল সাত্তার মরণ নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আওয়ামীলীগের উল্লেখিত পদধারী নেতারা ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার পদে পূনরায় জন্টু কে জয়ী করানোর জন্য প্রকাশ্যে তাদের ওয়ার্ডের বিভিন্নস্থানে সভা সমাবেশ করছেন এবং সমাবেশে মাইকের মাউথ স্পিজের সামনে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে র্নিলজ্জের মতো নীজ দলের প্রার্থীর বিরোধীতা করে বক্তব্য রাখছেন এবং বিএনপি সমার্থিত জমসেদ আলী ঝন্টুর পক্ষে ভোট ভিক্ষা চাইছেন। চতুর ত্রিরতœ কেন্দ্রীয় , জেলা ও মহানগরের আওয়ামীলীগের কর্ণধারদের নজর এড়ানোর জন্য বর্তমানে আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী আইভির পক্ষে কাজ করার পাশাপাশি বিএনপির প্রার্থী জন্টুর পক্ষে এলাকায় নেমে এই বলে ভোট ভিক্ষা করছেন যে, মেয়র হিসেবে আই ভি এবং কাউন্সিলর হিসেবে জন্টু কে ভোট দিবেন।
তাদের র্নিলজ্জাপনার কারণে ক্ষুদ্ধ ১১নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের সাধারণ নেতা কর্মীরা তাদের মত ব্যাক্ত করে জানান , এটা ১১নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট নূরুল হুদা, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলা সিনেমার সাবেক খলনায়ক ওয়ালী মাহমুদ ও মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল সাত্তার মরণদের নতুন কোন ঘটনা নয়। এর আগেও উল্লেখিতরা বিগত নাসিক নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী বর্তমান এমপি শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলো। ঐ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী শামীম ওসমানকে পরাজিত করাই তাদের মূল র্টাগেট ছিলো । শামীম ওসমান ও আওয়ামীলীগ ঐ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও লাভোবান হয়েছেন দলের পদ পদবী পাওয়া মীরজাফর ১১নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট নূরুল হুদা, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলা সিনেমার সাবেক খলনায়ক ওয়ালী মাহমুদ ও মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল সাত্তার মরণরা।
দলের পদপদবী নিয়ে বসে থাকা এসব স্বার্থান্বেষী নেতারা হচ্ছে ঘরের ইঁদুর । এরা ঘরের মালিকেরটা খেয়ে দেয়ে নীজের অবস্থার পরিবর্তন করে এবং ঘরে বসেই বাঁধ কেটে মালিকের সর্বনাশ করে।
তাদের রোষানল থেকে বাঁচার ভয়ে নাম পরিচয় না প্রকাশের শর্তে এক প্রবীণ আওয়ামীলীগার সহ কয়েকজন সমর্থক বলেন , এমপি শামীম ওসমান কর্মী বান্ধব ও ভালো নেতা বলে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নেন নি। তবে এবার ঐ ত্রিরত্নের অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় ও জেলার কর্ণধারদের প্রতি সুদৃষ্টি ও জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তানাহলে যোগ্যতা থাকার পরও এদের দ্ধারা বারবার লাঞ্ছিত বঞ্চিত নির্যাতিত হবে আওয়ামীলীগের প্রকৃত নেতা কর্মীরা। উল্লেখিত ত্রিরত্নের অপকর্মের বাস্তব স্বাক্ষী প্রকাশিত ছবি গুলো।