নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( প্রেস বিজ্ঞপ্তি ) : আগামী ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের পক্ষে মিডিয়া সেল খোলা হয়েছে। মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব দেয়া হয় মাসুকুল ইসলাম রাজীবকে। মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে নির্বাচনী সকল তথ্য জানানো হবে।
মিডিয়া সেল হতে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতিদিন দৈনন্দিন কর্মসূচী পাশাপাশি প্রতিদিন সাখাওয়াত হোসেন খানের নির্বাচন সম্পর্কিত বিবৃতি পাঠানো হবে।
মিডিয়া সেলের সমন্বয়ক জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ও সমন্বয়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব বলেন, ‘আমরা একতাবদ্ধ রয়েছি, একতাবদ্ধ না থাকার কোন সুযোগ নেই কারণ এটি ব্যক্তির নির্বাচন নয় দলীয় প্রতীকের নির্বাচন। অতএব নেত্রী যেহেতু সাখাওয়াত ভাইকে নির্বাচিত করেছেন সেহেতু আমাদের সকলের ইমানী দায়িত্ব হচ্ছে তার পক্ষে মাঠে নামা। যদিও এখন একটু ধীরগতি রয়েছে সামনে সবাই এক হয়ে পুরোদমে মাঠে নামবো।
নির্বাচনে বিএনপির প্রতিশ্রুতি নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন প্রতিশ্রুতি নিয়ে আমাদের প্রার্থী ম্যানুফেস্ট তৈরি করবেন। নির্বাচনে বিএনপির প্রতিশ্রুতি হলো আমরা মানুষকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। এই সরকার মানুষের এই দুটি অধিকারকে গলাটিপে হত্যা করেছে। এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হবেনা জানা সত্ত্বেও এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে আমাদের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনকে বেগবান করতে চাই।
রাজীব বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে অনেকগুলো সংস্থার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। প্রথমত সরকারের সদিচ্ছা থাকতে হবে, দ্বিতীয়ত নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ থাকার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখাতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সংবিধানের আলোকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে পালন করতে হবে। নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান যদি নিজ নিজ দায়িত্ব সততার সাথে পালন করে তবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব। যেটা আমাদের, নারায়ণগঞ্জবাসীর এবং দেশবাসীর প্রত্যাশা।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন সেনাবাহিনীর প্রয়োজন নেই কারণ তার যুবলীগ, ছাত্রলীগ রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের একজন ভোটার হিসেবে আমি বলতে চাই আসলে সেনাবাহিনী বাংলাদেশের মানুষের নির্ভরতার একটি প্রতীক। মানুষ আসলে সেনাবাহিনীর উপর আস্থা রেখে স্বস্তি পেতে চায়। তবে আইভী আপার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলতে হচ্ছে তবে কি সেনাবাহিনীর প্যারালাল উনি ছাত্রলীগ, যুবলীগকে মুল্যায়ন করেন? বিগত দিনের নির্বাচনগুলোতে যত অন্যায় অপকর্ম হয়েছে তার সিংহভাগেই এই দুটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে প্রতীয়মান হয়েছে। বাংলাদেশের আস্থার প্রতীকের সাথে এমন দুটি সংগঠনের তুলোনা যিনি করেন তার কাছে নগরবাসী কি প্রত্যাশা করতে পারে তা নিয়ে আমরা সন্দিহান।