নাসিক এর ২৭ ওয়ার্ডে কোরবানির পশু জবাইয়ের ২০৮টি স্থান নির্ধারণ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশেনের ২৭টি ওয়ার্ডে কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য ২০৮টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯টি স্থানকে বিশেষভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিবেশ দূষণ রোধ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এসব স্থানে পশু কোরবানী করার জন্য নির্দেশনা হয়েছে। একই সঙ্গে পরিবেশ রক্ষায় সিটি করপোরেশনের সমস্ত এলাকা, রাস্তা-ঘাট, পাড়া-মহল্লা এবং অলি-গলি হতে পশু কোরবানীর পরবর্তী সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছে নাসিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।

সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  নির্দেশনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কোরবানীর পর পশুর  বর্জ্য অপসারণে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে এ বছর পশু কোরবানী জন্য সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়নের মোট ২০৮টি স্থানকে নির্বাচন করা হয়েছে।

এর মধ্যে নাসিকের তত্ত্বাবধায়নে নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলে (১০, ১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮) নং ওয়ার্ডে একটি করে এবং ১১নং ওয়ার্ডে ২টিসহ মোট ১০টি, সিদ্ধিরগঞ্জে ৫টি (১, ৩, ৫, ৮ এবং ৯) নং ওয়ার্ডে এবং বন্দর কদমরসূল অঞ্চলে  ৪টি  (২১, ২২, ২৪ এবং ২৫) নং ওয়ার্ডসহ মোট ১৯টি স্থানে প্যান্ডেলসহ জবাইখানা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

সিটি  করপোরেশনের দেয়া তথ্য অনুসারে, ঈদের দিন দুপুর থেকেই বর্জ্য অপসারণে কাজ শুরু হবে। কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ ও ঈদে নাগরিক সেবা দেয়ার জন্য সিটি করপোরেশনের নিয়মিত ৫০০ জন পরিচ্ছন্নকর্মীসহ মোট ১ হাজার পরিচ্ছন্নকর্মী কাজ করবেন। পাশাপাশি অতিদ্রুত বর্জ্য অপসারনের জন্য ৪০টি গার্ভেজ ট্রাক রাখা হবে।

তাছাড়া কোরবানী ঈদের দিন কোরবানী পরবর্তী সময়ে ও ঈদের পর দিন  কোরবানী পশুর বর্জ্য বা উচ্ছৃষ্টাংশ (গোবর, হাড়, বর্জ্য ইত্যাদি) পরিবশেকে দূষনমুক্ত রাখার লক্ষ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডের মহল্লাগুলোর প্রধান সড়ক থেকে বর্জ্য অপসারন করে পানি দিয়ে ভালভাবে ধৌতকরণের পর ২০টন ব্লিচিং পাউডার ও ফিনাইল  ছেটানো হবে। কোরবানীর জন্য নির্ধারিত প্রতিটি স্থানে অস্থায়ী ড্রেন ও অসমতল জায়গাকে সমতল করে দেয়া হবে। যাতে রক্ত ও পানি জমে না থাকে। পাশাপাশি পানি ও ভ্যান গাড়ীর ব্যবস্থা রাখা হবে। যাতে করে কোরবানী গোস্ত নির্বিঘ্নে স্পট থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যেতে পারে।

এছাড়া কোরবানী পরবর্তী বর্জ্য দ্রুতসময়ে অপসারনের জন্য সিটি করপোরেশন-এর পক্ষ থেক ঈদের আগের দিন সকাল  ১০টা থেকে কন্ট্রোলরুম খোলা হবে যা ঈদের পরদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। একই সঙ্গে পশু জবাইয়ের স্থানের তালিকা ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সহায়তা পেতে কন্ট্রোলরুমের যোগাযোগ নম্বর প্রকাশ করা হবে।

সিটি করপোরেশন সূত্র আরো জানা যায়, এ বছর কোরবানীর পশুর চামড়ার অর্থনৈতক গুরুত্ব বিবেচনায় এনে চামড়ার গুণগতমান বজায় রাখতে প্রতিটি ওয়ার্ডে কসাইদের জন্য  প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পশু কোরবানীর নিয়ম অনুযায়ী রাস্তার ওপর ও খোলা স্থানে কোন পশু জবাই নিষিদ্ধ তা এ বছরও বলবৎ থাকবে। এছাড়া সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থান ও বাড়ির আঙ্গিনা ছাড়া অন্য কোথাও পশু কোরবানী করা যাবে না।

কোরবানীর পশু জবাই ও বর্জ্য অপসারণ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে এ বছর ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উদ্দেশ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ ও ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সচেতনতামূলক বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হবে। পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনদিন আগে থেকেই মাইকযোগে প্রচারনা চালানো হবে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন হিরণ জানান, পশু কোরবানির স্থান ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা এই বছর বিশেষ ভাবে উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। আমাদের এ সকল কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করতে জনসাধারণ ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি। নাসিক ২০৮টি কোরবানির পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত