নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : ব্যস্ততম শহরের অন্যতম সড়ক ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড। যেপথে প্রতিনিয়ত লক্ষাধিক লোকের আসা-যাওয়া। তবে চারমাস পেরিয়ে গেলেও বিভিন্ন সময়ই সড়কের সংস্কারের জন্য নানা খুড়াখুড়িতে অতিষ্ঠ জনজীবন। এতে করে যাতায়াতে যেমন বিঘ্ন ঘটছে। সম্মূখিন হতে হচ্ছে নানা দূর্ঘটনার কবলে।
সম্প্রতি লিঙ্করোডে চলছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ড্রেন ও কালভার্ট নির্মাণের কাজ। আর এই প্রকল্পটিই যেন নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য এক অভিশাপ। এধরনের নির্মাণের কাজকে কেন্দ্র করে গত ৪ মাস যাবত লেগে আছে তীব্র যানজট। বর্তমানে রাস্তার পূর্ব পাশ থেকে পশ্চিম পযন্ত ৩০ ফুট কালভার্ট নির্মাণের জন্য হয়েছে প্রায় ২০ ফুটের অধিক রাস্তা কাটা। এতে দু পাশে সড়ক সরু হওয়ায় গাড়ি চলাচল করছে ধীর গতিতে। এতে মানষিক যন্ত্রনার পাশাপাশি সময় ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চালক-যাত্রী থেকে শুরু করে গোটা নগরবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ড্রেন ও কালভার্ট নির্মাণে রাস্তার ঠিক মাঝ খানে প্রায় ২০ ফুট আকারের এক বিরাট গর্ত। এতে রাস্তার উভয় পাশ সংকুচিত হওয়ার কারণে রাস্তার দুই পাশেই সরু জায়গা দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। ফলে সৃষ্ট হয় তীব্র যানজট। তবে এই ভোগান্তির জন্য নগরবাসী সিটি কর্পোরেশন এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগ উভয়কেই সমভাবে দায়ী করছে। কারো সাথে আলোচনায় না বসে সিটি কর্পোরেশনের হুট করে ড্রেন ও কালভার্ট নির্মাণের কাজে হাত দেওয়া এবং অপরদিকে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নিম্মমানে কাজের জন্য দুই দিন পর পরই রাস্তা মেরামতের চিরন্তনবাণীতে অতিষ্ট শহরবাসী। তবে সব শেষে সকলের যেন একটাই আকুতি যত দ্রুত সম্ভব এই প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করে এই ভোগান্তির অভিশাপ থেকে শহরকে মুক্ত করা হউক।
এ পথে যাতায়াতকারী একজন চাকুরিজীবী সোহান বলেন, এ নির্মাণ কাজগুলি রাতের ফাকা সময়ে করলেও তো আমাদের এতোটা দুর্ভোগ পোহাতে হয় না। কয়েকমাস ধরেই সড়ক ও জনপদ বিভাগ ও সিটি কর্পোরেশন বিভিন্ন নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তারা কি একবারও ভাবেন না আমাদের মত মানুষ কতটা ভোগান্তির শিকার হই। পাচঁ মিনিটের পথ পার হতেও প্রায় আধাঘন্টা লেগে যাচ্ছে।
বন্ধন পরিবহন বাসের একজন হেলপার বলেন, আমরা গাড়ি নিয়া বের হয়েও বিপদে আছি। যাত্রীগো কি ধৈর্য্য থাকবো, বইসা থাকতে থাকতে আমাগোই মেজাজ খারাপ হইয়া যায়। দুই দিন পর পরই এগুলির জন্য গাড়ি নিয়া আর চাষাঢ়া শহরই পার হতে পারিনা।
এ ব্যপারে চাষাঢ়ায় যানজট নিরসনে কর্মরত একজন ট্রাফিকের পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞাস করলে তিনি বলেন, আমাগো কিছু করার নাই। আগে রাস্তা ঠিক করতে বলেন। যানজটের জন্য মূল সমস্যাই রাস্তা। তবে দেখা যায় যানজট নিরসনে অক্লান্তু পরিশ্রম করে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগ। কিন্তু এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। সারাদিন যানবাহনকে সঠিক নিয়ন্ত্রনে রাখলেও সড়কটি সরু হয়ে যাওয়ায় গাড়িগুলি চলাচল করছে ধীর গতিতে। এতে করে প্রায় আধা কিলোমিটার সড়কে যানজট দীর্ঘ হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আজগর হোসেন জানায়, ৬ মাস মেয়াদী ড্রেন ও কালভার্ট নির্মাণের প্রকল্পটি যতদ্রুত সম্ভব বাস্তবায়নে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে অনাকাঙ্খিত বৃষ্টি মাঝখানে অনেকটাই অভিশাপ হয়ে দাড়িয়েছে। অন্যদিকে ভেকু ব্যাবহার করা যাচ্ছে না বলে ম্যান পাওয়ারের মাধ্যমে কাজ একটু ধির গতিতে চলছে। তাবে আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাবে।