নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের জায়গায় অবৈধভাবে দখল করে ঘর তুলে লাখ লাখ টাকা বানিজ্য করার অভিযোগ উঠেছে খোরশেদ ওরফে কাইল্যা খুইসার বিরুদ্ধে। শহরের জিমখানা বস্তি এলাকার বাসিন্দা মৃত কালু সরদারের ছেলে সে।
জানা গেছে, জিমখানায় কোনরকম অনুমতি ছাড়াই টিনসেড ঘর নির্মাণ করে দোকান ভাড়ার এডভান্স বাবদ ৫০ হাজার থেকে ১ লাখেরও বেশী মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে খোরশেদ। তবে জায়গাগুলো সিটি করপোরেশনের আওতাধীণ হলেও বিনা অনুমতিতে প্রতিমাসের ভাড়া বাবদ কারো কাছ থেকে ৬ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে কাইল্যা খুইসা ও তার বাহিনীরা। কিন্তু এসব বিষয়ে কিছু জানে না নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এর প্রধান নির্ববাহী কর্মকর্তা মো. আবুল আমিন বলেন, আমি পরিপূর্ণ অবগত নই। সার্ভেয়ার কালাম ভালো বলতে পারবেন উনার সাথে কথা বললে ভালো হয়।
সে কথামত প্রতিবদেক সার্ভেয়ার কালাম এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি নিশ্চিত করে জানান, ওই জমি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনেরই। তবে খাল খননের কাজ চলছে বিধায় সেখানে সুযোগে হয়তো কে বা কারা ঘর তুলেছে। তবে সার্ভেয়ার হিসেবে বিভিন্ন সময় পরির্দশনে গিয়ে বর্তমানে জমিটি দখল রয়েছে এমন দেখার পর তিনি সিটি করপোরেশন এর কোন র্উধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন কিনা? এ প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, জানাই নি। কিন্তু জানাবো।
এরপর আবারো একাধিকবার সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্ববাহী কর্মকর্তাকে কল দেয়া হলে তিনি আর রিসিভ করেন নি। তাই এ বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করবে কিনা তা জানা সম্ভব হয়নি।
এদিকে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর নিয়ে জানা যায়, পুরাতন ও নতুন জিমখানার এক মূর্তিমান আতংক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে কাইল্যা খুইসা। মন্ডল পাড়া ব্রীজের পাশেই তার শেল্টারে পরিচালিত হয় নানা অপরাধ কর্মকান্ড। ওই স্থানটিতেই গড়ে উঠেছে ফার্নিচার, কাঠ এর স মিল, মুদি দোকান সহ ১০ থেকে ১৫টির মত দোকান ঘর। সে ঘরগুলোতেও চলছে অবৈধভাবে নেয়া বিদ্যুতের সংযোগ। এর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও শিরোনাম হয়েছে খোরশেদ ওরফে কাইল্যা খুইসা। রয়েছে নানা অপকর্মের বিস্তর অভিযোগ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু দোকান মালিক বলেন, আমরা খোরশেদের কাছে দোকান ঘরের এডভান্স বাবদ কেউ ৩০ হাজার কেউ ৫০ হাজরেরও বেশী দিয়েছি। আর প্রতি মাসে তো ভাড়া বাবদ ৬-১০ হাজার দেইই। সিটি করপোরেশনের জায়গায় বিনা অনুমতিতে অবৈধভাবে ব্যবসা করা ঠিক হচ্ছে কিনা প্রতিবেদক জানতে চাইলে বলেন, এখানে সবকিছুই খোরশেদ ভাই দেখেন। সবাইকে ম্যানেজ করেই খোরশেদ ভাই আমাদের দোকান দিসে। তবে আমাগো কথা কিছু বইলেন না, তাহলে আমাদের সমস্যা করবো।
তবে এ নিয়ে অভিযুক্ত খোরশেদ ওরফে কাইল্যা খুইসার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে সকল অভিযোগ অস্বিকার করেন। তিনি বলেন, এ জমি সিটি করপোরেশনের ঠিক। তবে ঘর এর বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। ওই সকল অভিযোগ মিথ্যা। যারা এখন দোকানদারী করছে তারাই দোকান উঠিয়ে ব্যবসা করছে। আমি কারো কাছ থেকে টাকা নেই না। আমি কোন অপরাধের সাথে জড়িত না।