নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব প্রতিবেদক ) : এবার ঐতিহ্যবাহী নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুলের এক শিক্ষকের উপর হামলা করার অভিযোগ উঠেছে অভিভাবক প্রতিনিধি সরকার আলম ও ওয়াহিদ সাদাত বাবুুর বিরুদ্ধে। ১০শে এপ্রিল রবিবার দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় লাঞ্চনার শিকার হন স্কুলটির গণিত শিক্ষক মাহবুবুর রহমান। এ ঘটনার পর স্কুলের অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সূত্রে জানা গেছে, ভর্তি বানিজ্য করতে না পারায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। বর্তমানে প্রত্যেকটি ভর্তি কার্যক্রম অনলাইনে ফরম পূরণ করে নির্বাচিত হতে হয় শিক্ষার্থীদের। পরবর্তিতে অন্যান্যদের মধ্যে যারা ওয়েটিং লিস্টে থাকে তদেরকে সুযোগ দেয়া হয়। তবে এবারে ওয়েটিং লিস্টে ভর্তি করার কথা ৬০ থেকে ৬৫ জন ছাত্র। সেখানে প্রায় দেড়শত জন শিক্ষার্থীর আবেদন রয়েছে। যেখানে এর বাহিরেও কতিপয় অভিভাবক প্রতিনিধিরাও সুপারিশ রয়েছে। আর এবারে এর সম্পূর্ণ দায়িত্ব স্কুলটির গভর্নিং বডির সভাপতি চন্দন শীলকে দেয়া হয়েছে। কিন্তু ভর্তি তালিকায় সরকার আলম ও ওয়াহিদ সাদাত বাবুুর সুপারিশ করা শিক্ষার্থীদের নাম না আসায় তারা ক্ষুব্দ হয়ে যায়। পরে বহিরাগত লোক ও ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অভিভাবক নিয়ে স্কুলটির গণিত শিক্ষক মাহবুবুর রহমানের উপর হামলা চালায়।
এ প্রসঙ্গে স্কুলটির গণিত শিক্ষক মাহবুবুর রহমান জানায়, আমি আমার দায়িত্ব থেকে কথা বলেছি। বিদ্যালয়ে ভর্তি করার কথা ৬০ থেকে ৬৫ জন ছাত্র। সেখানে অভিভাবক প্রতিনিধিদের আবেদন ছিলো দেড়শত জনের বেশী। অনেকেই ভর্তির ক্ষেত্রে বাদ পড়েছে। যেখানে সরকার আলম ও ওয়াহিদ সাদাত বাবুুর সুপারিশ করা শিক্ষার্থীদের নাম কেন আসেনি। এ নিয়ে আমার উপর চড়াও হয় তারা। আমি বারবার বলেছি এ বিষয়ে আপনার সভাপতির সাথে (চন্দন শীল) কথা বলেন। আমার সাথে খারাপ আচরণ করার মানে কি। কিন্তু তারা শুনেনি। বরং আমার উপর আলম ও বাবু আরো কয়েকজন বহিরাগত লোক ও ভর্তি ইচ্ছুক অভিভাবকদের নিয়ে হামলা চালায়। এটা একটি ঐতিহ্যবাহী স্কুল আমি চাই না এখানে পুলিশ আসুক, বদনাম হোক। আর এ বিষয়ে সভাপতি (চন্দনশীল), তিনিও দু:খ প্রকাশ করেছেন। আর দ্রুতই সমাধান করবে বলে আশ্বস্ত করেছেন।
এমন ঘটনায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুলের কয়েকজনই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একটি চক্র নানা পন্থ্যায় ঐতিহ্যবাহী এই স্কুলের অর্থ লুটপাট করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। সেই চক্রের হোতারা এখনো পুরানো কায়দায় বিদ্যালয়ের অর্থ লুটপাট সহ ভর্তি বাণিজ্য করতে না পারায় সাংবাদিকদের ব্যবহার করে নানা অপপ্রচার চালিয়ে নিজেদের অবস্থান অটুট রাখার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তৎকালীন সময়ে শ্যামল নামক এক অভিভাবকে নানাভাবে হয়রানী ও হুমকি ধমকিসহ ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করিয়ে থানা হাজতে আটকের ঘটনাও ঘটায় এই চক্রের হোতারা। সেই পুরানো চক্র এবার ভর্তি বাণিজ্যের নামে অনেক অভিভাবকের কাছ থেকে আগাম অর্থ হাতিয়ে নিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের উপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। এতে ব্যর্থ হয়ে রবিবার দুপুরে শিক্ষক মাহবুবুর রহমানের উপর এমন হামলার ঘটনা ঘটায় সরকার আলম ও ওয়াহিদ সাদাত বাবুু।
স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ভূইয়া বলেন, এ বিষয় চন্দন শীল কে অবহিত করা হয়েছে। তিনি যা সিদ্ধান্ত নেন সেই মতোই ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি নতুন এসেছি তাই এর বেশি আর কিছু বলতে পারবো না।