নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিবেদক ) : নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতি থেকে অনেকটাই অদৃশ্যমান বিএনপির কতিপয় প্রবীণ রাজনীতিবিদ। যারা এক সময় ছিলেন দাপটশালী আজকে তাদের অস্তিত্ব যেন সংকটে। একটা সময় যাদের গর্জনে মিছিল আর প্রতিবাদী বিক্ষোভে রাজপথ প্রকম্পিত হত আজ তারা ব্যাকফুটে। বেশকজন নেতার আবার বেঁজে উঠছে রাজনীতি থেকে বিদায়ের ঘন্টা। অনেকেই আবার চলে গেছে না ফিরার দেশে। এতে করে সঠিক নেতৃত্ব শুণ্যতায় কর্মীদের মাঝে ব্যপক হতাশা। তাই বিএনপির দল ক্ষমতা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া এক যুগ পেরিয়ে অনেকেই এখন আওয়ামী দলের নেতাকর্মীদের একনিষ্ঠ সঙ্গি। ফলে সব মিলিয়ে বিএনপি দলীয় কর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝেও এখন প্রশ্ন উঠেছে সেসব প্রবীন রাজনীতিবিদরা কি তাহলে অবসর নিবেন?
এদিকে মাঠ চাঙ্গা রাখতে টক-শো এবং ঘরোয়া সভা করে দু-একজনকে জ্বালাময়ী বক্তব্য দিতে দেখা গেলেও আগের সেই অবস্থানে ফিরে আসা অনেকের জন্যই আবাার অনিশ্চিত। তাদের অনেকেই এখন নিজ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়েই বেশী ব্যস্ত। ফলে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে তরুণরা রাজনীতিক নির্ভর হয়ে উঠতে যাচ্ছে। তবে তরুণ রাজনীতিকদের অনেকেই প্রভাবশালী শিল্পপতি কিংবা ব্যবসায়ী মার্কা নেতাদের চাটুকারিতা এবং বিভক্তিতে ফাটলও স্পষ্ট। তবে নানামুখী কর্মকান্ডে বিএনপি রাজনীতিতে প্রবীনরা আজ যেন অস্তিত্ব বিলিনে।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম :
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন রেজাউল করিম। তিনি নামের আগে অধ্যাপক ও মুক্তিযোদ্ধা শব্দ দুটি ব্যবহার করেন। যদিও দুটি শব্দ নিয়েই রয়েছে নানা বিতর্ক। রেজাউল করিম মুক্তিযোদ্ধা নয় এমন অভিযোগ তুলে সোনারগাঁয়ের মুক্তিযোদ্ধারা জোড়ালো প্রতিবাদ এবং অভিযোগও তুলেছিলেন। এছাড়াও তিনি নিজেকে দাবি করেন তিনি একজন অধ্যাপক যা তার দলের কে›ন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান এক সময় নিজেই অভিযোগ তুলেছেন- রেজাউল করিম অধ্যাপক নয়। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের বর্তমান জাতীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকাও অভিযোগ তুলেছেন- রেজাউল করিম ভূয়া অধ্যাপক ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু এই রেজাউল করিম ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়নের প্রতিমন্ত্রী। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে একাধিকবার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু এক এগারোর সময় দলের বর্তমান চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নিয়েছিলেন। হয়েছিলেন সংস্কারবাদীদের অন্যতম একজন। এমন তকমা নিয়েই ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে মনোনয়ন পান তিনি এবং তরুণ প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের কাছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। তারপর রাজনীতি থেকে নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েন রেজাউল করিম। দলের ব্যানারে নিজের আখের গুছালেও রেজাউল করিম বিএনপির নেতাকর্মীদের বিপদে পাশে থাকেননি।
সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুর :
আতাউর রহমান খান আঙ্গুর বিএনপির সাবেক তিন বারের এমপি। তিনি নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে এমপি নির্বাচিত হন সেই ১৯৯১ সাল থেকে। আড়াইহাজারের একটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ছিলেন তিনি। তার ভাই কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রয়াত ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এএম বদরুজ্জামান খান খসরু আওয়ামীলীগ থেকে বিএনপিতে নিয়ে আসেন আঙ্গুরকে। ওই সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন খসরু। যার ফলশ্রæতিতে বিএনপির টিকেট এনে দেন আঙ্গুরকে। পরবর্তীতে আপন ভাই খসরুর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন আঙ্গুর । তবে আঙ্গুর ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে আড়াইহাজারের অবকাঠামোগত বেশ উন্নয়ন হয়েছে। যদিও তিনি এক এগারোর সময় দলের বিরোধীতা করে সংস্কারবাদীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। এ আসনে গত নির্বাচনে মনোয়ন পান কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম আজাদ। ইতিমধ্যে এ আসনে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন আঙ্গুরের ভাতিজা মাহমুদুর রহমান সুমন।
সাবেক এমপি আবুল কালাম :
বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে একাধিকবার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন অ্যাডভোকেট আবুল কালাম। তৎকালীন নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার একটি ওয়ার্ড নির্বাচনে নিজের মনোনয়ন বাজেয়াপ্ত হওয়া এই বিএনপি পরবর্তীতে তিন বার এমপি নির্বাচিত ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে। বর্তমানে তিনি মহানগর বিএনপির সভাপতির পদে দায়িত্ব পালন করছেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবুল কালাম দলের মনোনয়ন পাননি। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মনোনয়ন পান ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এসএম আকরাম। সম্প্রতি কালামের এলাকায় ভাগ বসিয়েছেন এড.সাখাওয়াত হোসেন খান ও মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তাদের ধাক্কায় সামনে আবারো দলের মনোনয়ন ভাগিয়ে আনতে পারবেন কিনা তা নিয়ে বেশ সংশয় রয়েছে। তিনিও এক এগারোর সময় দলের বিরোধীতাকারী সংস্কারবাদীদের সঙ্গে ছিলেন।
সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দীন :
২০০১ সালের নির্বাচনে জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনের মাত্র ২১ দিন পূর্বে বিএনপিতে যোগদান করেই ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পান। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বর্তমান এমপি শামীম ওসমানকে পরাজিত করে তিনি এমপি নির্বাচিত হন। কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের কমিটিতে তিনি রয়েছেন। এমপি হওয়ার পর তিনি ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়ন পাননি। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির একসময় কমিটি গঠনের পূর্বে আলোচনায় ছিলেন গিয়াসউদ্দীনই হচ্ছে জেলা বিএনপির কর্ণধার। তিনি ওই সময় নেতাকর্মীদের চিঠির মাধ্যমে প্রস্তত থাকারও আহবান জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে জেলা বিএনপির দায়িত্ব দেয়া হয়নি।
সফর আলী ভুইয়া :
দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির আহŸায়কের পদে রয়েছেন সফর আলী ভূঁইয়া। কিন্তু তিনি রাজনীতিতে নেই একেবারেই। ২০১৩ সালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির আহŸায়ক করা হয় তাকে। কিছুদিন পর তিনি বিদেশে চলে গেলে সেখানে ভারপ্রাপ্ত আহŸায়ক করা হয় আলী হোসেন প্রধানকে। কিন্তু সফর আলী ভূঁইয়া দেশে ফিরে আসলেও তাকে আর দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে বিএনপির এক অনুষ্ঠানে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মাঝে ধস্তা ধস্তিও হয়েছিল। ২০০১ সালের নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পান তিনি। কিন্তু গিয়াসউদ্দীন বিএনপিতে যোগদান করলেও সফর আলীর মনোনয়ন বাতিল করে সেখানে গিয়াসউদ্দীনকে মনোনয়ন দেয়া হয়। তারপর থেকে সফর আলী ভূঁইয়া আর রাজনীতিতে ঘুরে দাড়াতে পারেনি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আহবায়ক হলেও তিনি এখন আর রাজনীতিতে নেই।
মুহাম্মদ শাহ আলম :
শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলম। কল্যাণপার্টির কোষাধ্যক্ষ থেকে বিএনপিতে যোগদান করেই নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে দলের মনোনয়ন পান। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী সারাহ বেগম কবরীর কাছে পরাজিত হন। এরপর তিনি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা বিএনপির পাশাপাশি জেলা বিএনপির দাপুটে নেতা বনে যান। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি পদেও দায়িত্ব পালন করেন। যদিও কোনটাতেই তিনি সম্মেলনে করে পদ পাননি। দ্বিতীয় দফার কমিটিতেও তিনি একই পদে বহাল থাকেন। গত নির্বাচনে তিনি তার আসন থেকে দলের মনোনয়ন পাননি। নির্বাচনের পর তিনি নারায়ণগঞ্জের জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তবে তিনি কেন্দ্রীয় সদস্য পদে বহাল রয়েছেন। নিজের পিঠ বাঁচাতেই তিনি দুটি পদ ছেড়ে দেন এবং তার অনুগত নেতাদের দিয়েই ফতুল্লা থানা বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। গত নির্বাচনে তার আসনে মনোনয়ন পান ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী।
তৈমূর আলম খন্দকার :
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পদে রয়েছেন। জেলা বিএনপির সেক্রেটারি পদেও দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে আহŸায়ক এবং জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পূর্বে তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নির্বাচনের ঘোষণা দিয় মাঠে নামেন। গত নির্বাচনে তিনি নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন চান। প্রাথমিকভাবে দলের মনোনয়ন পেলেও চূড়ান্ত পর্যায়ে এখানে মনোনয়ন পান জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান। ২০০৬ সালে নির্বাচনের প্রস্ততির সময় তৈমূর এ আসনে মনোনয়ন পেলেও এক এগারোর কারনে তিনি গ্রেপ্তার হলে কারাবন্ধি হন। ২০১১ সালে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তিনি দলের সমর্থন পেলেও ভোট গ্রহণের সাত ঘন্টা আগে তাকে বসিয়ে দেয় বিএনপি। নারায়ণগঞ্জের বিএনপির এক সময়কার নিয়ন্ত্রক এখন টক-শো এবং রূপগঞ্জের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নিয়েই বেশী সময় পার করছেন।
কাজী মরিরুজ্জামান মনির :
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মরিরুজ্জামান মনির। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীকে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মরিরুজ্জামান মনিরকে দল থেকে চুড়ান্ত এ সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসন থেকে ধানের শীষ প্রতিকে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে মনোনীত করা হয়। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে প্রতিদ্বন্ধিতায় করা ৭ প্রার্থীর মধ্যে বিজয়ী প্রার্থী মহাজোটের প্রার্থী ১২৬টি কেন্দ্রে গোলাম দস্তগীর গাজী নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছিলো ২ লাখ ৩৪ হাজার ৮৫৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধিতায় প্রার্থী কাজী মনিরুজ্জামান মনির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছিলো ২১ হাজার ৪৮২ ভোট। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৭৯১ জন। মহিলা ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ৩৯৭ এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭৮ হাজার ৩৯৪ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১২৬ টি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসন থেকে কাজী মরিরুজ্জামান মনির বিপুল ভোটে পরাজয় হয়।
আতাউর রহমান মুকুল :
বন্দর উপজেলার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল। মুকুল মহানগর বিএনপি সহ-সভাপতি থাকলেও মাঠ পর্যায়ের দলীয় কর্মসূচীতে কোন সক্রিয় নেই তার। তাছাড়া বিভিন্ন সময় জাতীয় পার্টি ও আওয়ামীলীগের নেতা এবং ক্ষমতাসীনদের সাথে আতাঁত করে চলতে দেখা যায়। এর কারণে মুকুলের প্রতি মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা নাখোশও রয়েছে। এদিকে দলীয় কর্মসূচীতে মুকুলের সক্রিয় না থাকায় বিভিন্ন সময়ে তাকে নিয়ে তার দলীয় নেতারা ভিন্ন ভিন্ন মন্তব্য করতেও শোনা গিয়েছিলো ।
হাজী মো. মনিরুল আলম সেন্টু :
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী মো. মনিরুল আলম সেন্টু। তিনি তার এলাকায় সেন্টু চেয়ারম্যান নামে পরিচিত। কাগজে কলমে ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি থাকলেও মাঠ পর্যায়ের দলীয় কর্মসূচীতে কোন সক্রিয় নেই তার। এদিকে বিভিন্ন সময় আওয়ামীলীগের নেতা ও ক্ষমতাসীনদের সাথে আতাঁত করে চলতে দেখা যায়। এর আগে ২০১৮ সালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চবটিতে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের শামীম ওসমানের এক নির্বাচনী জনসভায় নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়ার ঘটনায় বিএনপি নেতা মনিরুল আলম সেন্টু দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান বিএনপির নেতাকর্মীরা এর পরই তিনি দল থেকে বহিষ্কার করাও হয়েছিলো। এদিকে মনিরুল আলম সেন্টু কে এ সময় তার দলীয় নেতারা বিভিন্ন আলোচনা ও সমালোচনা করতেও শোনা গিয়েছে।