নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( শহর প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জ শহর এখন ফিটনেস বিহীন বাস ও লেগুনার নগরীতে পরিনত হয়েছে। অবৈধ বাসষ্ট্যান্ড, যত্রতত্র পার্কিং ও বেপরোয়াভাবে যানবাহন চলাচলের কারনে প্রতিদিনই যানজটের সমক্ষীন হচ্ছে শহরবাসীর। আর ওই সকল অবৈধ ষ্ট্যান্ডকে ঘিরে জমে উঠেছে চাঁদাবাজির মহোৎসব।
জানা গেছে, নগরীতে ফিটনেস বিহীন বাস, ট্রাক ও অবৈধ লেগুনার ছড়াছড়ি । এছাড়া অবৈধভাবে নতুন ৩০টি (শীতল) এসি বাস নামানো হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না এমন অভিযোগ শহরবাসীর। নগরীতে যানজটের জন্য বঙ্গবন্ধু সড়কের নিতাইগঞ্জে অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড, ১নং রেলগেট বাসষ্ট্যান্ড, মেট্রো হলের মোড়ে বাসষ্ট্যান্ড, খানপুর ও চাষাড়ার মোড়ে গড়ে উঠেছে অবৈধ বাসষ্ট্যান্ড। অবৈধ বাসষ্ট্যান্ডগুলোতে ইচ্চেমত গাড়ি পার্কিং করে যাত্রী ওঠানামা করা হয়। বেশীরভাগ সময় দেখা যায় পুরো রাস্তা বন্ধ করেও যাত্রী উঠানো হয়। প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রনে থাকায় ভয়ে কেউ মুখ খুলতেও সাহস পায় না। যত্রতত্র গড়ে ওঠা ওই সকল অবৈধ ষ্ট্যান্ড থেকে কোটি-কোটি টাকার চাঁদাবাজি মহোৎসবে মেতে উঠেছে নারায়ণগঞ্জে’র প্রভাবশালী একটি মহল। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে ট্রাফিক ও চাষাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা আদায় করছে মোটা অংকের টাকা। চাঁদাবাজ ও প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজেস অসহায় হয়ে পরেছে সাধারন নাগরিক। নষ্ট হচ্ছে প্রতিদিন কর্মঘন্টা, ভুগতে হচ্ছে যানজট নামক যন্ত্রনায়।
আরো জানা যায়, গুরুত্বপূর্ন এ জেলা শহরটিতে বৈধ-অবৈধ প্রায় ২০-২৫টি বাস কোম্পনী রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- শীতল এসি বাস সার্ভিস, সিটি বন্ধন (পুরাতন বন্ধন), উৎসব পরিবহন, আনন্দ পরিবহন, বোরাক, হিমাচল, আল্লাহ ভরাসা লোকাল সার্ভিস), দূরন্ত, শীতলক্ষ্যা, বন্ধু পরিবহন, বাঁধন পরিবহনসহ আন্ত:জেলার বেস কয়েকটি বাস সার্ভিস। নেই বৈধ রুট পার্মিট, নেই ড্রাইভারদের লাইসেন্স। এর পাশাপাশি যানজট যন্ত্রনার যুক্ত হয়েছে লেগুনা সার্ভিস। এদের নেই বৈধ কোন কাগজপত্র। লেগুনার ড্রাইভারদে মধ্যে বেশীর ভাগই অপ্রাপ্ত বয়স্ক। যাদের নেই ড্রাইভিং লাইসেন্সও। চাষাড়ার মোড় থেকে সাইনবোর্ড ও মোক্তার পর্যন্ত বীর দর্পে চলে এসব লেগুনা।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, এসব ট্রাকস্ট্যান্ড, বাসষ্ট্যান্ড ও লেগুনা থেকে পুলিশ ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নামে কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। ট্রাক রাখার জন্য নগরীর পঞ্চবটিতে সিটি কর্পোরেশনের জায়গায় ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু ট্রাক চালকেরা সেখানে যাচ্ছেন না। কিন্তু এখন সড়কের ট্রাক পার্ক করে মালামাল লোড-আনলোড করা হচ্ছে। যদি সিটি গর্ভনেন্স করা হয় তাহলে মেয়রের ক্ষমতা বারবে। তখন সিটি কর্পোরেশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে।
যানজট সম্পর্কে জানতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) আবদুর রশীদকে ব্যবহৃত সরকারি (০১৭৬-৯০৫৮১১৭) সেল নাম্বারে কল করা হলে তিনি ডিসি অফিসে মিটিং-এ রয়েছেন পরে ফোন করেন বলে ফোনটি কেটে দেন।