নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সদর প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক অফিসে দালাল ছাড়া মেলে না পাসপোর্ট। ৭টি সিন্ডিকেটের প্রায় আড়াইশ দালাল চক্রের সদস্যরা নিয়ন্ত্রন করছে আঞ্চলিক এ কার্যালয়টি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সাধারন মানুষ পাসপোর্ট করতে আসে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক অফিসে। সেবা নিতে আসা সাধারন মানুষ এসে সরাসরি অফিসে যোগাযোগ করলে তাদেরকে নানা ভাবে হয়রানী করে বাধ্য করা হয় দালালদের সরনাপর্ন হতে। আর পাশেই কম্পিউটার ও ফটোকপি মেশিনের দোকানের আড়ালে দালালদের অলিখিত কার্যালয় গড়ে উঠেছে। দালালদের মাধ্যমে গেলে কোন যাচাই-বাছাই লাগে না। যদিও খরচ একটু বেশী লাগে।
সাধারন মেয়াদে ব্যাংকে জমা দিতে হয় ৩৪শত ৫০ টাকা, জরুরী পাসপোর্টের জন্য জমা দিতে হয় ৬ হাজার ৯শত টাকা। সেখানে দালালদেরকে দিতে হয় সাধারন বইয়ের জন্য ৭/৮ হাজার ও জরুরীর জন্য ১০/১২ হাজার টাকা দিতে হয়। এ টাকা থেকে ব্যাংকে জমা দেয়ার পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা প্রতিটি বইয়ে পায় ১হাজার, পুলিশ (এসবি) প্রায় ১হাজার টাকা দিতে হয়। এরপর ডিবি পুলিশ ও থানা পুলিশকে মাসোয়ার দেয় ওই দালাল চক্রের সদস্যরা। সকল খরচ দেয়ার পর যে টাকা থাকে তা চলে যায় দালালদের পকেটে। ৭টি সিন্ডিকেটের মধ্যে আগারগাওয়ের ১টি, রায়েরবাগের ১টি, আড়াইহাজারের ১টি, বন্দরের ২টি ও জালকুড়ির ২টি। ওই সিনডকেটের দালালরা কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে নাসিক ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ভাই আলমগীরের শেল্টারে পুরো পাসপোর্ট অফিস নিয়ন্ত্রন করছে।
ভুক্তভোগীরা জানায়, অফিসে সরাসরি গেলে অফিসার মিজানুর রহমান ও নুরুল হুদা সাহেব বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করেন। এরপর সকল প্রমানপত্রের মূল কপি দেখার পরেও কোন গুরুত্ব দেন না। আর দালালদের মাধ্যমে বই জমা দেয়া হলে আর কোন কিছুই দেখেন না তিনি। দালালদের মাধ্যমে গেলে দ্বিগুন গুনতে হয়। অনেক সময় পাসপোর্টের টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় দালাল চক্রের সদস্যরা।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী-পরিচালক নুরুল হুদা জানান, নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক অফিসে দেশের যে কোন জেলা থেকে মানুষ এসে পাসপোর্ট করতে পারবেন। যদি তাদের এখানে বর্তমান ঠিকানা থাকে। আর দালালদের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এরকম যদি কোন কিছু থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন তিনি।