নারায়ণগঞ্জে হরতালে পুলিশের কঠোর তৎপরতা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা আধাবেলা হরতাল পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলার বাম জোটের নেতাকর্মীরা। এসময় হরতালে শহরে জেলা পুলিশের কঠোর তৎপরতা দেখা যায়। আজ ২৮শে মার্চ সোমবার সকালে হরতালের সমর্থনে বাম জোটের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে তারা শহরের চাষাঢ়া গোলচত্বর এলাকায় আসলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। সেখানে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীরা তর্ক  বাকবিতণ্ডা জড়ালে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পরে নেতাকর্মীরা পুলিশকে শান্ত করে মিছিল নিয়ে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় বঙ্গবন্ধু সড়কে একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।

এদিকে, বাম গণতান্ত্রিক জোটের মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক এবং বঙ্গবন্ধু সড়ক প্রদক্ষিণ করে এ সময় জোটের নেতা-কর্মীরা সড়কে চলাচল করা যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকে দেয়। এরপর পুলিশ গিয়ে তাদের উপর লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করলে জোটের কয়েকজন সদস্য আহত হন। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে ২ নং রেলগেইট এলাকায় সমাবেশ করে জোটের নেতারা।

আহতরা হলেন, সিপিবি শহর কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুজয় রায় চৌধুরী বিকু, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক সুলতানা আক্তার, বাসদ ফতুল্লা ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য সচিব মোফাজ্জল হোসেন, বাসদ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সদস্য সামিউল, নির্মল, আনিছ হোসেন, ছাত্রফ্রন্টের জেলার সদস্য রাহাত আহামেদ, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের জেলার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, গণসংহতির সদস্য আওলাদ হোসেন উজ্জল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোজ্যতেল, চাল, ডালসহ খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অর্ধবেলা হরতাল সমর্থনে সকালে শহরের ২নং রেলগেইট এলাকায় সিপিবির কার্যালয়ের সামনে থেকে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতাকর্মীরা মিছিল করার জন্য বের হন। মিছিলটি নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব হয়ে চাষাঢ়া গোল চত্বর ঘুরতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। সময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে তর্ক  বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিপেটা শুরু করেন। এরপর তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে শহরের দুই নং রেলগেইট এলাকায় মিছিল করে। পরে সেখানেও পুলিশ তাদের বাধা দেয়।

বাম গণতান্ত্রিক জোট নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক নিখিল দাস বলেন, হরতাল সমর্থনে আমাদের নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই রাজপথে ছিল। সকালে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে সদর থানার ওসি শাহ জামানের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী আমাদের ওপর হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের নারী কর্মীরা পর্যন্ত রক্ষা পায়নি। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাই।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাহ্ জামান বলেন, হরতালকারীরা যানবাহন বন্ধ করে দিয়ে জনসাধারণের সমস্যা সৃষ্টি করে। তারা ককটেল ফাটিয়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছিল। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে পুলিশ বসে থাকবে না। তারা একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। আমরা দূর থেকে তাদের মিছিল থেকে বিকট শব্দের আওয়াজ শুনেছি এরপর ধোয়া দেখেছি। তখন আমরা তাদের বাধা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছি।

add-content

আরও খবর

পঠিত