নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব প্রতিবেদক ) : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্কুল ছাত্র রাকিবুল ইসলাম ইমন হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। ২০শে মার্চ রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ১ এর বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে চারজনকে খালাস দেওয়া হয়। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জাসমিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন : ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের কানাইনগর এলাকার আবদুস সামাদের ছেলে মো. সিরাজ মিয়া (৪৫), আমান উল্লাহর ছেলে মো. নাহিদ (২১), আহম্মদের ছেলে সেন্টু মিয়া (২৫) ও আহম্মদ আলী (৫৫)। যাবজ্জীবন প্রাপ্তরা হলেন : সিরাজুল ইসলাম সিরাজের স্ত্রী সালমা বেগম (৫২) ও আহমেদের স্ত্রী হুসনে আরা (৪৭)। এছাড়া মামলা থেকে আমান উল্লাহর স্ত্রী আয়েশা, সিরাজুল ইসলাম সিরাজের ছেলে মামুন, খোরশেদ আলম ও মন্টুকে খালাস দেওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে ইমনের বড় ভাই ইকবালের (সিঙ্গাপুর প্রবাসী) সঙ্গে চাচা আহম্মদ আলীর ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ইকবালের লাঠির আঘাতে আহাম্মদ আলীর মাথা ফেটে যায়। এরপর থেকেই তাদের দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। ওই ঘটনার পরে ইকবালকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়ায় তাকে সিঙ্গাপুর পাঠিয়ে দেয় পরিবার। প্রায় দুই বছর পর ইকবালের পরিবারের ওপর প্রতিশোধ নিতে ইমনকে হত্যার পরিকল্পনা করে আহাম্মদ আলী। ২০১৩ সালের ১৩ জুন ইমনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার পর মরদেহ ৯ টুকরা করে ফেলে দেওয়া হয়। পরে ২২ জুন বাড়ির অদূরে একটি ক্ষেত থেকে টুকরা করা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) জাসমিন আহমেদ বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আশা করি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রাখবেন।
রাকিবুল ইসলাম ইমন (১৩) ফতুল্লার চরাঞ্চল বক্তাবলীর কানাইনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে চর রাধানগর এলাকার ইসমাইল হোসেন ওরফে রমজান মিয়ার ছেলে।