নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের নতুন পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেছেন, শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, আমার কাছে মনে হয়েছে সারাদেশে কিশোর অপরাধ একটা এদের কেউ এডুকেডেট। কেউ আনএডুকেডেট, আবার কর্মজীবী ছেলেরাও আছে। এটা নির্মূলে যেমন বাবা-মার দায়িত্ব আছে, স্কুল কলেজের টিচারদের দায়িত্ব আছে, পুলিশের বড় একটা ভূমিকা এবং দায়িত্ব আছে, আপনাদের (সাংবাদিকদের) দায়িত্ব আছে। সবাই মিলে যদি আমরা একযোগে কাজ করি, তাহলে কিশোর গ্যাং নির্মূল করা সম্ভব। আমি নারায়ণগঞ্জে সকলকে নিয়ে কাজ করবো। মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসপি বলেন, যাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই, তাদের আমি অনুরোধ করবো- আপনারা রেজিস্ট্রেশন করে ফেলেন। অনেকেই আছে, যাদের ১৮ বছরও হয়নি। কিন্তু মোটর সাইকেল চালাচ্ছে। এদের মধ্যিই কিশোর অপরাধের প্রবণতা চলে আসে। আর যাদের কাগজপত্র নেই, কোনো কিছু নেই- তাদের বিরুদ্ধে আমাদের একশনে যাওয়া উচিৎ। সুতরাং কাগজপত্র ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন যে সকল মোটরবাইক আমরা পাব তাদের বিরুদ্ধে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে কম্বিং অপারেশনে যাব।
এসপি বলেন, আমরা সব সময় বলি মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স । কিন্তু এটাও ঠিক যে মাদক কিন্তু আমরা শতভাগ নির্মূল করতে পারিনি। তবে আমদের ইনটেনশনটা হচ্ছে শতভাগ পিউর। হ্যাঁ আমরা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স নীতি প্রয়োগ করবো। আমি কথার সাথে কাজের মিল রাখব।
ইজিবাইকে বিভিন্ন প্রেসের স্টিকার, সড়কে ও ফুটপাতে চাঁদাবাজির বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে বিআরটিএ আছে, হাইওয়ে পুলিশ আছে, সিটি কর্পোরেশন আছে, স্থানীয় অটোরিক্সা মালিক সমিতি আছে। ট্রাফিক পুলিশ আছে। আমি তাদের সবার সাথে বসে কথা বলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এর আগে তো তাদের সবার সাথে কথা বলতে হবে এবং এই বিষয়গুলোর ওপর আমাদের অবশ্যই ফোকাস থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো: জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) মো: আমীর খসরু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মো: তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রসিকিউশন) শাওন শায়লা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মোহাম্মদ নাজমুল হাসানসহ গণমাধ্যমকর্মীরা।