নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ) : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৩ দিন পর হুমায়রা (৮) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলায় প্রধান আসামী মো. সেলিম মিয়া ওরফে উদয় (২২) এবং মো. শুক্কুর আলী (৫০) নামে তার অপর সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ১১ এর সদস্যরা। ১লা আগস্ট সোমবার তাদেরকে মুন্সিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এরআগে গত ২৯ জুলাই শুক্রবার নিহত হুমায়রার মা সেতেরা বেগম বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
১লা আগস্ট সোমবার নারায়ণগঞ্জ বার্তাকে র্যাব ১১ এর স্কোয়াড্রন লীডার (উপ পরিচালক) এ কে এম মুনিরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে এক সংবাদ প্রেরিত বার্তায় তিনি জানান, আসামী মোছা: বৈশাখী আক্তারের স্বামী মো: সজীবের সাথে আসামী মো. সেলিম মিয়া ওরফে উদয় (আসামী মোছা: বৈশাখী আক্তারের ভগ্নিপতি) এর সাথে বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জের ধরে সেলিম সজীবের প্রতি প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে তার বোন হুমায়রাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সেলিম তার শ্যালিকা বৈশাখীকে শিশু হুমায়রাকে তার হাতে তুলে দিতে বলে প্রাথমিক অনুসন্ধান জানা যায়।
পারিবারিক সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় উক্ত প্রস্তাবে রাজি হয় এবং ভিকটিমকে বেড়ানোর কথা বলে তাকে সাথে নিয়ে আসামী সেলিমের কাছে তুলে দেয় এবং বাড়ীতে এসে ভিকটিম হারিয়ে যায় বলে গ্রেফতারকৃত আসামীরাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়। পরবর্তীতে আসামী সেলিম এজাহারে উল্লেখিত অন্যান্য আসামীদের সহযোগিতায় পরস্পর যোগসাজশে শিশু হুমাইরাকে হত্যা করে লাশ গুম করে এবং নিখোঁজের ৩দিন পর তার লাশ সোনারগাঁ থানাধীন বড় নয়াগাঁও এলাকায় বালুর মধ্যে অর্ধেক পুঁতা অবস্থায় পাওয়া যায়। মূলত পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়।
এছাড়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা শিশু হুমায়রা হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে। সেই হত্যা মামলার অধিকতর তদন্তের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাছাড়া র্যাব ১১ কর্তৃক শিশু হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান র্যাবের ওই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, এরআগে ২৮ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের নয়াগাঁও এলাকায় সোনিয়া কোম্পানির কাঠ বাগান থেকে নিখোঁজের ৩ দিন পর হুমায়রা (৮) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত হুমায়রা উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মৃধাকান্দি গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় মৃধাকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো।