নারায়ণগঞ্জে লকডাউন উপেক্ষা করে প্যারাডাইজ ও জিডিএল শ্রমিকদের বিক্ষোভ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জে লকডাউন উপেক্ষা করে বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে ফতুল্লাস্থ প্যারাডাইজ ও জিডিএল নামক দুইটি কারখানা শ্রমিকরা। রবিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ৫ঘন্টা ব্যাপী শহরের চাষাঢ়াস্থ মূল সড়কে তারা অবস্থান নেয়। এসময় জরুরী কাজে নিয়োজিত অর্ধশত পরিবহনকেও আটকা পড়ে থাকতে দেখা যায়।

বিক্ষোভরত জিডিএল এর শ্রমিকরা জানান, এপ্রিলে আজকে ১৮ তারিখ কিন্তু আমাদের তিন শতাধিক শ্রমিকের এখনও মার্চসহ দুই মাসের বেতন বাকি। আমরা বেতন নিতে ৫ এপ্রিল, ১৬ এপ্রিল কারখানায় যাই কিন্তু আমাদের বেতন না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এখন কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনো কিছু বলছেও না। আমরা এমনিতেই এই করোনা ভাইরাসের কারণে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছি। তারওপর বেতন পরিশোধ নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের তালবাহানা আমরা এখন কোথায় যাব?

প্যারাডাইজ শ্রমিকরা জানান, গত ১০ মাস ধরে মালিকপক্ষ তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধের ব্যাপারে নানাভাবে আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত বেতন পাননি তারা। শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ না করেই কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হয়। যার কারণে মানবেতর জীবন যাপন করছেন কর্মহীন হয়ে পড়া কয়েকশত শ্রমিক। বাড়ি ভাড়া দিতে না পারায় বাড়িওয়ালা ঘরে তালা দিয়েছেন। পাশাপাশি পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। করোনার ভয় ও লকডাউন উপেক্ষা করে বাধ্য হয়েই রাস্তায় নেমেছেন বলে জানান শ্রমিকরা।

শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ না করা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথা জানান বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন। ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন,শ্রমিকরা কেনোভাবে জীবন যাপন করলেও করোনা ও লকডাউনের কারণে তারা আর জীবিকা নির্বাহ করতে পারছে না। শ্রমিকরা যদি ২ মাসের বেতনও পায় তাহলে তারা কিছু ডাল ভাত খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবে। এখন আর শ্রমিকরা কোনোভাবেই অপেক্ষা করতে পারছে না। সকাল ১০টা থেকে আমরা আন্দোলন করছি। এর মধ্যে পুলিশ কয়েক দফায় আমাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছে তবু আমরা আন্দোলন করে যাচ্ছি। কোনো সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা যাচ্ছি না।

এ বিষয়ে সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা আন্দোলন করছে। আমারা তাদের ছত্রভঙ্গ করিনি। তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছিলেন না, আমরা তাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলি।

add-content

আরও খবর

পঠিত