নারায়ণগঞ্জে নৌকার প্রচারে যাওয়া ৮ কর্মকর্তাসহ ১২ জনকে শোকজ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় প্যানেলভুক্ত ৮ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে তলব করেছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি। একইসাথে তাদের নিয়ে নির্বাচনী সভা করায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের ৪ নেতাকেও তলব করা হয়েছে। নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় আসনটিতে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকা সিনিয়র সহকারী জজ ধীমান চন্দ্র মন্ডল তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।

বুধবার দুপুরে কমিটির সভাপতির কক্ষে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। তলব করা হয়েছে আড়াইহাজার উপজেলার দুপ্তারা সেন্ট্রাল করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন সরকার, জাঙ্গালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহেদুল হক, মুকুন্দী গাজীপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লোকমান হোসেন, জাহানারা বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক, উজানগোবিন্দী বিনাইরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার উজ-জামান খান, গোপালদী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাদেকুর রহমান কামাল, রোকন উদ্দিন মোল্লা গার্লস ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মইনুল হোসেন মানিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী লুৎফুন্নাহার বেগম।

এই আট ব্যক্তি আসনটিতে প্যানেলভুক্ত প্রিজাডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার। তারা ভোটগ্রহণের দিন দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশিক্ষণও নিয়েছেন। এ পর্যায়ে তারা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট আইন লঙ্ঘন করেছেন বলে শোকজ নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া, তাদের নিয়ে প্রচারণা করায় খাগকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম, আড়াইহাজার উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান শাহিদা মোশারফ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল হক রুবেল, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল আলমকেও কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

জানতে চাইলে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি ধীমান চন্দ্র মন্ডল বলেন, প্যানেলভুক্ত ৮ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাসহ ১২ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাদের লিখিত ব্যাখ্যা এবং কমিটির অনুসন্ধান অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেওয়া হবে।

এর আগে এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়ে তাঁর স্ত্রী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়মা আফরোজ কারণ দর্শানোর নোটিশ পান। গত সোমবার তিনি তাঁর প্রতিনিধির মাধ্যমে ওই বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেন। যদিও ওইদিন বিকেলেই খাগকান্দা ইউনিনের কয়েকটি এলাকায় তিনি প্রচারণায় অংশ নেন এবং স্বামীর পক্ষে নৌকা ভোট প্রার্থনা করেন।

এই বিষয়ে ধীমান চন্দ্র মন্ডল বলেন, ‘নৌকার প্রার্থীর সরকারি কর্মকর্তা স্ত্রীকে শোকজ করা হয়েছিল। তিনি লিখিত ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। তাঁর ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দেওয়া হবে। পরবর্তীতে কমিশন এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন।’

add-content

আরও খবর

পঠিত