নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে অন্দোলনে সক্রিয় বিএনপি। অধিকাংশ নেতা-কর্মী মামলার আসামি হয়ে পলাতক রয়েছে। তবে দলটির তিন নেতাকে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান এমপির নির্বাচনী মঞ্চে দেখা গেছে। তাদের উপস্থিতি নানা প্রশ্নের ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে বিএনপি শিবিরে। যদিও তারা আগে থেকেই ওসমান পরিবার ঘনিষ্ঠ বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচিত ছিল। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বন্দরের সমরক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা নাসিকের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকার, ২২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূঁইয়া ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউসিলর গোলাম নবী মুরাদ। তারা সবাই বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
সমাবেশে বিএনপি নেতাদের প্রসঙ্গে সেলিম ওসমান বলেন, বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মুকুল সাহেব, উনি এখানে আজ আসতে চেয়েছিলেন। আমি বলেছি, না তোমার আসার দরকার নাই। তুমি পিছনে থেকেই কাজ করো। তিনি বললেন, না আমি আসবই। আমি বলেছি ৭ তারিখের পর এসে গরু জবাই করে, আনন্দ হবে। কিন্তু ভোট দেব না, অংশ নেব না এমন পরিস্থিতি যাতে না হয় সেই জন্যে দায়িত্ব নিতে হবে। বিএনপির প্রতিনিধি হিসেবে আজ এখানে ৩ জন এসেছেন। ২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সুলতান আহমেদ, ২১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে হান্নান, ২০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে গোলাম নবী মুরাদ আছে। আমরা জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ চিনি না। আমরা একসাথে বন্দরবাসীর জন্য কাজ করবো।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ২০১৮ সালের প্রহসনের নির্বাচনের পর থেকেই আমরা আন্দোলনে আছি। বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন বর্জন করে নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির সকল নেতা-কর্মী মাঠে সক্রিয়। সরকার বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, যেসব নেতা জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন তারা এর আগেও দলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তারা তাদের এই আচরণের দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে।