নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে যুবক হত্যায় গ্রেফতার ২

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব প্রতিবেদক ) : নারায়ণগঞ্জের ইসদাইর এলাকায় মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে মামুন (২২) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা বাবুল হাওলাদার বাদী হয়ে এক নারী সহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত নামা আরো ৪ থেকে ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে। গত ৫ ডিসেম্বর সোমবার বিকাল ৫টায় ফতুল্লা থানাধীন ইসদাইর এলাকার পৌর স্টেডিয়াম সংলগ্ন নুর ডাইংয়ের পেছনের মাঠে হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। এ সময় নুরনবী (২১) নামে অপর এক যুবক আহত হয়।

হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামী কে সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতাকৃতরা হলো : মামলার এজাহার নামীয় আসামী ফতুল্লার ইসদাইর এলাকার এড. হাসনাতের বাড়ীর ভাড়াটিয়া ইসমাইল হোসেনের পুত্র মো. সামিউল ওরফে বুলেট (২২) ও ইসদাইর বাজার এলাকার সিরাজ কসাইয়ের পুত্র স্বপন (২০)। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির (২)।

এ বিষয়ে হুমায়ুন কবির জানায়, মামলার এজাহারনামীয় গ্রেফতারকৃত ২ আসামীর মধ্যে প্রথমে সামিউল ওরফে বুলেট গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় সোমবার রাতে স্বপনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের কে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে নিহতের বন্ধু শফিকুল জানায়, সোমবার বিকাল ৪টার দিকে তাকে ফোন করে নিহত শফিকুল। ফোন করে তার বাসার পেছনে আসে নিহত মামুন। পরক্ষনেই আসে নিহত মামুনের বন্ধু আহত নুরনবী। এর কিছুক্ষন পরেই সাইফুল, পায়েল, জয় সাদ সহ ১০ থেকে ১৫ জন মামুন এবং নুর নবীকে পেয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এতে ২ জনই মারাত্মক আহত হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে শহরের খানপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে মারা যায় মামুন। আশংকাজনকবস্থায় নুর নবীকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

তিনি আরও জানান, কোরবানী ঈদের পূর্বে বড় ভাই এবং ছোট ভাই নিয়ে মারামারি হয় সাইফুল গ্রুপের সাথে। সে সময় তা স্থানীয় বড় ভাইয়েরা মিমাংসা করে দেয়। আজ বিকালেও নুর নবীর সাথে এদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরেই এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটায়।

এ ব্যাপারে আহত নুর নবী সাংবাদিকদের জানায়, ইসদাইর বাজারের পেছনের একটি মাঠে হামলাকারীরা গাঁজা সেবন করতো। বিকালে তা নিয়ে তাদের কে বকাঝকা করে মাঠ থেকে তাড়িয়ে দেয় নিহত মামুন। এনিয়ে সাইফুল-পায়েল গ্রুপের সন্ত্রাসীরা মামুন ও তাকে পেয়ে ছুরিকাঘাত করে।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ শেখ রিজাউল হক দিপু জানান, হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। এজাহারনামীয় ২ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জড়িত অপর আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত