নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জে বাড়িওয়ালা কর্তৃক সাবেক সেনা সদস্য ও তার পরিবারকে হেনস্তা ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও সাবেক সেনা সদস্যের ভাড়া বাসায় তালা ঝুলিয়ে রাখাসহ হুমকী প্রদানের কারণে গত ৮দিন যাবত পরিবার নিয়ে ঘর ছাড়া হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সাবেক সেনা সদস্য। শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকালে এ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী অবসর প্রাপ্ত সেনাবাহিনীর পরোয়ানা কর্মকতা মোহামম্মদ আলী। এসময় উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী মাকসুদা আক্তার ও কন্যা আদিবা ফারহীন।
জানা গেছে, ফতুল্লা থানাধীণ মাসদাইর শেরে বাংলা সড়ক এলাকার বাড়ির মালিক আব্দুল মালেক, তার ছেলে রোমান এবং কন্যা মনিরা জামান মলির দায়ের করা একটি হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় সদ্য জেল হাজতও ভোগ করেছেন সাবেক ওই সেনা সদস্য। গত ৩রা এপ্রিল ওই মামলায় জামিনে মুক্ত হয়েছেন তিনি। তবে এখোনো বাড়িওয়ালা পরিবারটির নির্যাতনে ঘর ছাড়া সাবেক সেনা সদস্যের পরিবার। এ নিয়ে গত ১৮ মার্চ ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ করেও পুলিশের পক্ষে কোনো সহযোগীতা পাননি বলেও তিনি যুক্ত করেন।
সাবেক সেনা সদস্য মোহাম্মদ আলী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তার বিজেও নং: ১৮৯৬৬, ইউনিট এএসসি। দীর্ঘ ২৮ বছর তিনি কর্ম শেষে গত ২০১৩ সালে অবসর গ্রহন করেছেন। বর্তমানে অবসর ভাতা দিয়েই তিনি তার পরিবারের খরচ বহন করে আসছেন। ভুক্তভোগী সাবেক সেনা সদস্যের এখন দাবি সুষ্ঠু তদন্ত করে যেন বাড়িওয়ালা পরিবারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করে মানবিক বিবেচনায় ঈদের আগে তার নিজ ভাড়া বাসায় প্রবেশ করিয়ে পরিবারসহ বসবাস করার সুযোগ করে দেয়া হয়।
তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে আরো অভিযোগ করে বলেন, বাড়ির মালিক আব্দুল মালেক নিয়ম অনুযায়ী গত ৩ বছর বাসা ভাড়া নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু গত ৬ মাস ধরে তার ছেলে রোমান এবং আইনজীবী পরিচয়দানকারী মনিরা জামান মলি ভাড়া দাবি করছেন। তবে বাড়ির মালিক ছাড়া সাবেক সেনা সদস্য অন্য কাউকে ভাড়া দিতে অস্বীকার করলে তাকে নানাভাবে হুমকী দিতো বাড়িওয়ালার ছেলে ও কন্যা। এ নিয়ে ক্ষুব্দ থাকায় এক পর্যায়ে তারা সাবেক সেনা সদস্যকে এবং তার পরিবারের উপর হামলা চালায়। এমনকি সাবেক সেনা সদস্যের কন্যা আদিফা ফারহিনকে আঘাত করে তার দাঁত ভেঙ্গে ফেলে উল্টো থানায় আইনজীবী পেশার পরিচয়কে পুজি করে সাবেক সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তা দ্রুত মামলায় এজহারভুক্ত করানো হয়। একজন সাবেক সেনা সদস্য হিসেবে তিনি সম্মানের চিন্তা করে লজ্জায় বিষয়টি সমাধানে মিমাংশার চেষ্টা করলেও তা উপেক্ষিত করে তারা কৌশলে হেনস্তা করেছে। পরবর্তিতে সাবেক সেনা সদস্যের পরিবার অভিযোগ থাকলেও গত ৩১ মার্চ তালা ঝুলানোর ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় অবগত করতে গেলে পুলিশী কোনো সহযোগীতা পান নি বলে দাবী ভুক্তভোগীর।