নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার একটি ফ্ল্যাটে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মারা যাওয়া ওই নারীর নাম আলেয়া বেগম (৪০)। ২৬ই এপ্রিল সোমবার ভোরে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তিনি মারা যান।
এদিকে বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মৃত আলেয়া বেগমের স্বামী হাবিবুর রহমান ও শাশুড়ি সামান্তা বেগম। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানিয়েছেন, তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আলেয়া বেগমের আত্মীয় মনতাজ মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলেয়া বেগমের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আলেয়া বেগমের স্বামী হাবিবর রহমানের ৮৫ শতাংশ ও শাশুড়ি সামান্তা বেগমের শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া সামিউলের শরীরের ১০ শতাংশ, তাবাসসুম মীমের শরীরের ২৫ শতাংশ, মীমের ৩ মাস বয়সী ছেলে মাহিরের ২০ শতাংশ, লিমনের ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁরা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৩ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার পশ্চিম তল্লা জামাই বাজার এলাকায় মডেল গার্মেন্টস এর দক্ষিণ পাশে স্থানীয় মফিজুল ইসলামের তিন তলা বাড়ির ৩য় তলায় ভাড়াটের ফ্ল্যাট বাসায় গ্যাসের চূলার পাইপ লাইনের বিস্ফোর নারী ও শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হয়।
দগ্ধরা হলেন : হাবিবুর রহমান, লিমন, সাথী, মীম, মাহিরা (৩ মাস), আলেয়া, সোনাহার, শান্তি, সামিউল, মনোয়ারা ও আরেকজনের নাম পাওয়া যায়নি। এদের মধ্যে লিমন, সাথী , মীম , মাহিরা (৩ মাস) ও আলেয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দগ্ধ আলেয়া বেগমের সোমবার মৃত্যু হয়।
বিস্ফোরণের পর পরিদর্শনে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ ওই বাড়িটি সিলগালা করে দেয়া হয়। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সদস্য সচিব করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়।
ওই সময় উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা আরিফা জহুরা জানিয়েছিলেন, একজন নারীকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। শিশু সহ ওই নারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে বার্ন ইউনিটের ডাক্তাররা জানিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা সবাই নিম্ন আয়ের মানুষ। তাদের চিকিৎসার জন্য কোনো আর্থিক সহযোগিতার প্রয়োজন হলে উপজেলা প্রশাসন থেকে করা হবে।