নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ফতুল্লা সংবাদ দাতা ) : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় রাবেয়া বেগম (৩৫) নামে চার সন্তানের জননী ৭মাসের অন্ত:সত্ত্বা গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সোহেল আহমেদ অপুকে আটক করেছে পুলিশ। ১লা মার্চ মঙ্গলবার দুপুর ১টায় ফতুল্লার শান্তিনগর এলাকার সেলিম মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসা থেকে রাবেয়া বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
নিহত রাবেয়া বেগম ভোলা জেলার দক্ষিণ আইচা থানার তাল্লুক কান্দা গ্রামের তোফাজ্জল সিকদারের মেয়ে। সে স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে ফতুল্লার হরিহর পাড়া শান্তিনগর দুলাল মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করেন। নিহতের স্বামী সোহেল আহমেদ অপু বরিশাল জেলার কোতয়ালী থানার চর নিহালগঞ্জ গ্রামের মোস্তফা হাওলাদারের ছেলে।
নিহতের স্বামী অপু জানান, তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম সুদে টাকা দিতেন লোকজনকে এবং বিভিন্ন জনের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন। এ নিয়ে দেড় মাস আগে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে চার পুত্র সন্তানকে বাসায় রেখে বাহিরে নানা জনের বাসায় থাকেন এবং গার্মেন্টসে কাজ করেন।
বাড়ির লোকজন জানান, সোমবার রাতে অপুকে বাসায় আসতে দেখেছেন তারা। মঙ্গলবার সকালে তার স্ত্রীর গলা কাটা লাশ ঘরের ভিতর পাওয়া যায়।
তার শিশু সন্তানরা বলেন, তাদের মা বাবা এক রুমে থাকেন আর তারা পাশের আরেকটি রুমে থাকেন। রাতে তার বাবা বাসায় এসেছিল। রাতের কখন তাদের মাকে হত্যা করা হয়েছে তারা জানে না। তখন তারা ঘুমে ছিল।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, রাবেয়া এলাকায় লোকজনের কাছে সুধে টাকা দিতেন। বিভিন্ন জনের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলায় তার স্বামী তাকে সন্দেহ করতেন। এ কারণে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। গত দেড় মাস আগে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে বাসা থেকে চলে যায় অপু। সোমবার রাতে অপুকে বাসায় আসতে দেখে স্থানীয়রা। সকালে তার স্ত্রীর গলাকাটা লাশ ঘরের ভেতরে পড়ে আছে বলে জানায় স্থানীয়রা। দুপুরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে অন্তঃসত্ত্বা ওই গৃহবধূকে তার স্বামী গলাকেটে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সোহেল আহমেদ অপুকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।