নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সৈয়দ সিফাত লিংকন ) : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে দেখা গেছে নানা চমক। কঠিন অংক কষেই নির্বাচনী মাঠও চষে বেড়িয়েছিলেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। নানা জল্পনা-কল্পনায় গত ৯ নভেম্বর থেকেই চলছিল আলোচনা সমালোচনার ঝড়। নৌকা ও লাঙ্গলের হাল ধরতে আলোচনা সভা, উঠান বৈঠক, সমাবেশে নানা প্রচারণায় নিজেকে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে যৌগ্য দাবি করেও ডজন প্রত্যাশী ঝড়িয়েছেন অনেক ঘাম। সাটিয়েছিলেন নানা রংয়ের ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার। এছাড়াও প্রচারের অন্যতম মাধ্যম পত্র-পত্রিকা, টেলিভিশন সহ বাদ পড়েনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক।
তবে শুরুতে ডজন ছাড়িয়ে যাওয়া সেসকল প্রার্থীর আগমনে ওই চমক এখন পুরনোদের জনপ্রিয়তার কাছে অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে। কারণ তফসিল ঘোষনার পর থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে আওয়ামী লীগ । নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে তিনটি আসনেই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমাও দেয় ৪৩জন। এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে ৩২ জন, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে ৬ জন ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ৫ জন। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানেও যোগ দিয়েছিল তারা ।
কিন্তু পুরনোরা জনপ্রিয়তার শির্ষে থাকায় এদের সকলকে পিছে ফেলে রোববার (২৫ নভেম্বর) ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সাক্ষরিত মনোনয়নের চিঠি হাতে পেয়েছেন বর্তমান দলের তিনজন এমপি। এরা হলো- নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে নজরুল ইসলাম বাবু ও নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে এ.কে.এম শামীম ওসমান। যেখানে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে ৩টি আসনই দখলে নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
এদিকে তৃণমূল ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জতীয় ঐক্যফ্রন্ট এ জোটবদ্ধ হয়ে বিএনপি এবারের নির্বাচনে অংশ নেয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই পাল্টে গেছে নির্বাচনী মাঠের প্রেক্ষাপট। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল ও জাতীয় পার্টি সহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল মহাজোট হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। যে কারণে ৩টি আসনে আওয়ামী লীগ নিলেও নারায়ণগঞ্জের বাকি দুইটি আসন জাতীয় পার্টি কে দেয়া হবে বলেই শুনা যাচ্ছে। আর সে আসনেও কেন্দ্রের সবুজ সংকেত পেয়েছেন জাপা মনোনিত বর্তমান এমপি নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে লিয়াকত হোসেন খোকা এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর ও বন্দর) আসনে এ.কে.এম সেলিম ওসমান। ইতোমধ্যেই সোমবার ( ২৬ নভেম্বর ) জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন তাঁরা।
সূত্র বলছে, পূর্বে সংসদীয় আসনের উন্নয়ন ও দলীয় কার্যক্রমে জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের হাল ধরতে তাদের বিকল্প আর কেউ নেই। সে হিসেবে আসন্ন নিবার্চনে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনেই বর্তমান জাতীয় সংসদ সদস্যরাই বহাল থাকছে। এতে করে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনেই প্রার্থী বিবেচনায় বর্তমানই হতে পারে ভবিষ্যত। তবে এ ফলাফল জানতে অপেক্ষা করতে হতে পারে আরো দুইদিন। মহাজোটের প্রার্থীর সেই ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছে দুইটি আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও আওয়ামী লীগের নৌকা ও জাপার লাঙ্গল মার্কার সমর্থকরা।